নাহিদুলের স্পিন তাণ্ডব ছাপিয়ে অবিশ্বাস্য ড্র

চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ১১তম আসর। প্রথম রাউন্ডের দুই ম্যাচে ফলাফল না মিললেও দ্বিতীয় রাউন্ডের দুই ম্যাচেই ফলাফল এসেছে। চট্টগ্রামে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে পূর্বাঞ্চল। সিলেটে জয়ের আশা জাগিয়েও অবিশ্বাস্য ড্র করেছে উত্তরাঞ্চল।

পাঁচ উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম

৩২২ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের। নাহিদুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে মাত্র ৫ রানে ২ উইকেট হারায় দলটি। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু ও ইনামুল হক। মাত্র ২১ রানেই চার উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল।

পঞ্চম উইকেটে মার্শাল আইয়ুব ও শেখ মেহেদি হাসান জুটি গড়ে দলকে রক্ষার চেষ্টা করলেও সেটি বড় হতে দেননি হাসান মুরাদ৷ এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন আইয়ুব। সেখান থেকে দলীয় ৪৬.১ ওভারে দলীয় অষ্টম উইকেট হারায় দলটি। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের নিশ্চিত হার দেখছিল অনেকে। কিন্তু মঈন খান ও সুমন খানের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ড্র করে দলটি। ম্যাচে সুমন ৭৯ বলে ১০ ও মঈন ৭৬ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। উত্তরাঞ্চলের পক্ষে একাই পাঁচ উইকেট শিকার করেন নাহিদুল।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উত্তরাঞ্চলে বিপক্ষে মাঠে নামে দক্ষিণাঞ্চল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাহিদুল ইসলামের একমাত্র ফিফটি ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৪৭ রানে ভর করে ২১৯ রানে অলআউট হয় উত্তরাঞ্চল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ৯০ রানে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৩ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণাঞ্চল।

২৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনবদ্য ১১৭ রানের সঙ্গে প্রীতম কুমারের ৬৩ ও আকবর আলীর ৬২ রানে ভর করে ৩৪৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে উত্তরাঞ্চল।