তুরস্কের সংসদে নারী সদস্যদের মারামারি

তুরস্কের জাতীয় সংসদে সংবিধান পরিবর্তনের প্রতিবাদে নারী সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সংসদে দেশটির বিরোধী দলের একজন নারী সংসদ সদস্য স্পিকারের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয়ায় মারামারির সূত্রপাত ঘটে।

সংসদে অধিবেশন চলাকালীন সময়ে স্বতন্ত্র নারী সংসদ সদস্য আইলিন নাজলিয়াকা মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়ায় ডেপুটি স্পিকার দু বার অধিবেশন মূলতবি করেন। কিন্তু এরপরও নাজলিয়াকার প্রতিবাদ বন্ধ করা না গেলে নারী সংসদ সদস্যদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।

জানা যায়, এই মারামারি পর্বে বহু নারী সদস্য অংশ নেন। এদের মধ্যে বিরোধী কুর্দি পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডেপুটি স্পিকার পারভিন বুলদান ও ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি বা একেপি’র গোকচেন এঞ্চ আহত হলে তাদের হাসাপাতালে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, তুর্কি সংবিধানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু করার জন্য রজব তাইয়্যেব এরদোগানের দল একেপি একটি বিল উথাপন করেছে। এই বিল নিয়ে আলোচনা করতে এই নিয়ে তিন দফায় সংসদে মারামারির ঘটনা ঘটল।

এই বিল পাশ হলে এরদোগান দুই মেয়াদের ক্ষমতায় পাঁচ বছর করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকবেন। এতে তার বিপুল পরিমাণ ক্ষমতা থাকা ছাড়াও তুরস্কের কোন প্রধানমন্ত্রী পদ থাকবে না।