অভিবাসী গ্রহণ অর্ধেকে নামাবে অস্ট্রেলিয়া

অভিবাসন নীতি কঠোর করছে অস্ট্রেলিয়া। শুধু তাই নয়, আগামী ২০২৫ সালের জুন নাগাদ অভিবাসী গ্রহণ অর্ধেকে নামিয়ে আনবে তারা। দেশটির সরকার জানিয়েছে, বিপর্যস্ত অভিবাসন ব্যবস্থা সঠিকপথে ফিরিয়ে আনার জন্য নীতিতে কিছু সংস্কার আনা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নতুন করে দেশটির ১০ বছরের অভিবাসন পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে রেকর্ড ৫ লাখ ১০ হাজার অভিবাসী-শ্রমিক অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করেছে।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও'নিল জানান, সরকার এই বিপুল সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে এবং বার্ষিক অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণ ৫০ ভাগ কমিয়ে দেবে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে অভিবাসীর সংখ্যা আড়াই লাখে নামিয়ে আনা হবে।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও'নিল বলেন, পূর্ববর্তী সরকার দেশের অভিবাসন ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটিয়ে ফেলেছে। গত কয়েক বছরে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করা হয়েছে, তবে তাতে দক্ষ শ্রমিকের অভাব ঘুচেনি। আবাসন ও অবকাঠামোগত সমস্যা আরও বেড়েছে।

নতুন অভিবাসন পরিকল্পনায় কারিগরি বা প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যখাতে উচ্চ-দক্ষদের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে। দক্ষ শ্রমিকের দিকে জোর দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ন্যূনতম ইংরেজি-ভাষার দক্ষতার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ বিদেশী শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই পরে সেকেন্ড ভিসা খ্যাত কর্ম ভিসা নিয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাদের আরও যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও’নিল বলেন, নতুন নীতিতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য দরকারি কর্মীদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে বর্তমানে বসবাসরত নাগরিক, কাজে নিযুক্ত কর্মী ও পড়াশোনা করতে আসা শিক্ষার্থী সবারই সমস্যা কমবে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া আবাসন সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে সাময়িকভাবে অভিবাসন হ্রাস করার চাপে পড়েছে দেশটি।

যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস কাউন্সিল এ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, কয়েক দশকের দুর্বল আবাসন নীতি ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনে বিনিয়োগের অভাবে অভিবাসীদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।