৬২ বছর বয়সে কোরআন হেফজ করলেন বুলগেরিয়ান নারী

নাইজেরিয়ার কানো শহরে ৬২ বছর বয়সী বুলগেরিয়ান নারী লিলিয়ানা মুহাম্মদ কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেছেন। ইচ্ছেশক্তি থাকলে যে কোনো কিছুই যে সম্ভব তা আবারও প্রমাণ করলেন এই নারী। তিনি ১০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

লিলিয়ানা মুহাম্মদ

লিলিয়ানা বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। এরপর থেকেই কোরআনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থানীয় এক মাদরাসা শিক্ষিকার কাছে তিনি কোরআন পড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে হিফজ করার প্রতি মনোযোগী হন।

তিনি বলেন, বয়স বেশি হওয়ায় কিছুটা দ্বিধা থাকলেও একপর্যায়ে তিনি কোরআন হেফজ করার মনস্থ করেন। শুরু থেকেই তিনি ব্যক্তিগতভাবে একজন মাদরাসা শিক্ষিকার কাছে কোরআন শিখতে শুরু করেন। মালামা হাফসা নামের ওই শিক্ষিকা তাকে আমাকে আমাকে আরবি বর্ণের জ্ঞান থেকে শুরু করে কোরআন পাঠের পদ্ধতিসহ সবকিছু পড়াতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি তার কাছে হেফজ করতে শুরু করেন।

লিলিয়ানা মুহাম্মদ

লিলিয়ানা বলেন, ইসলাম তার অন্তরে অনাবিল এক শান্তির সূচনা করেছে। কোরআন সবসময় তাকে পথ দেখিয়েছে। একই সঙ্গে তার জীবনকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। তিনি যখন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকেন, তখন মনে হয় তিনি নিজেকে পড়ছেন। সে সময় তিনি নিজের মধ্যে অন্য রকম প্রশান্তি অনুভব করেন। এটি তার জীবনের সবচেয়ে সুখকর মুহূর্ত।

লিনিয়ানা বলেন, নাইজেরিয়ার কানো শহরে মুসলিমরা অনুকূল পরিবেশে নিজ ধর্ম পালন করছে। অন্য দেশের তুলনায় এখানে অনেক বেশি হারে ধর্মীয় চর্চা হয়। ফলে এই স্থানটি তার খুবই প্রিয়।

লিনিয়ানার হেফজ করার বিষয়ে তার ছোট মেয়ে হামিদা সাম্বো বলেন, জীবনে এমন আনন্দদায়ক মুহূর্ত খুব কমই আসে। মায়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেফজ করার। তার সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমার বাবা বেঁচে থাকলে আমাদের আনন্দ আরও বেশি হতো। কারণ তিনি দেখতে পারতেন আমরা তার মতোই মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করছি।