গাজায় নিহত বেড়ে ১৬২৪৮, আহত ৪৩ হাজার

পুরো গাজা উপত্যকাজুড়েই বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে প্রতিমুহুর্তেই প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮ ছাড়িয়ে গেছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

গাজার খান ইউনিস শহরে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল

ইসরায়েলি বাহিনী কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিস, মধ্য গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা জোরদার করেছে। গত দুই দিনে এই দুই শহরে হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৬ হাজার ২৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬০০ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৭ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের দেহ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে বলেই আশঙ্কা।

ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ চলছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, দক্ষিণ গাজায় হামাসের শক্ত ঘাঁটি খান ইউনিসে আইডিএফ সৈন্যরা যুদ্ধ করছে।

হাগারি বলেন, সেখানে ১৩৮ ইসরায়েলি জিম্মিকে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা। জিম্মি সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

যুদ্ধবিরতির আগে টানা ৪৯ দিনের বিমান হামলায় পুরো ধূলিসাৎ হয়ে গেছে গাজা সিটিখ্যাত উত্তর গাজা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, উত্তর গাজায় নির্বিচার বোমা হামলায় ৮০ ভাগের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রেহাই পায়নি, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, আশ্রয়শিবির, এমনকি জাতিসংঘ স্কুল পর্যন্ত।

উত্তর গাজা থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসতে পারা লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল দক্ষিণ গাজায় বিশেষ করে খান ইউনিস শহরে। খান ইউনিসে উদ্বাস্তুসহ এখন ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে।

সেই শহরে এখন নির্বিচার বোমা হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট স্বীকার করেন, গাজা সিটিতে যা ঘটেছিল, তা এখন খান ইউনিসে ঘটছে।

ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মুখে দক্ষিণ গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।