ইসরায়েল: হামাসের হাতে এখনও রয়ে গেছে ১৩৮ জিম্মি

এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের পরও হামাসের হাতে ১৩৮ জন জিম্মি রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে গিয়ে হামলা চালানোর সময় হামাস তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে যায়। খবর এএফপি।

ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস, ফাইল ছবি

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে হালনাগাদ করা প্রতিবেদনে ১৩৮ জন জিম্মির কথা বলা হয়েছে। এর আগে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ১৩৭ জন জিম্মির কথা বলেছিলেন, যাদের মধ্যে ২০ জন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। এরপর ১৩৮তম ব্যক্তির খবর কিভাবে পাওয়া গেল সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে যে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল, তাতে এক হাজার দুইশ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। এ সময় হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েল থেকে ২৪০ জন ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে আসে। নভেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে বিদেশি নাগরিকসহ ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের মধ্যে ৮০ জনের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি লাভ করে। বাকিদের হামাস বিভিন্ন সময়ে মানবিক কারণে মুক্তি দেয়।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

এ বছরের শুরু থেকেই গাজায় নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। তবে সেটি বড় আকার ধারণ করে গত ৭ অক্টোবর হামাস কর্তৃক ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর। শক্তিশালী গোয়েন্দা বাহিনী ও সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও হামাসের এ হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার পর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। ওই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালাতে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। তাদের হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায় গাজা। বেসামরিক আবাসন থেকে শুরু করে হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, স্কুলসহ কিছুই রক্ষা পায়নি। রক্ষা পায়নি সাধারণ বেসামরিক লোকজনও। ইসরায়েলি হামলার দুই মাস পুর্তিতে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বিশ্বজুড়ে থেকে এ হামলা বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হলেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত তিনি এ হামলা চালিয়ে যাবেন।