ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহত বেড়ে ২২

ইন্দোনেশিয়ায় মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) উদ্ধারকারীরা ৯ জনের লাশ উদ্ধার করায় নিহতের সংখ্যা বাড়লো। আরও একজন পবর্তারোহী নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

মাউন্ট মারাপিতে অগ্ন্যুৎপাতে আটকা পড়েন অনেক পর্বতারোহী

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার মাউন্ট মারাপি বিশ্বের অন্যতম একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই সেখানে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। আকাশের অনেক উচ্চতায় ছড়িয়ে পড়ে ছাই-লাভার বিশাল মেঘ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনগুলোর ফুটেজে দেখ যায়, আশপাশের রাস্তাঘাট ও গাড়ি ছাইয়ের নিচে চাপা পড়ে। তিন কিলোমিটারের বেশি ছাইয়ের মেঘ আশপাশের গ্রামগুলোকেও ঢেকে ফেলে।

অগ্ন্যুৎপাতের সময় ওই এলাকায় অন্তত ৭৫ জন পবর্তারোহী আটকা পড়েন। আহত অবস্থায় বেশির ভাগকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও অন্তত ২৩ জন নিখোঁজ হন।

পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ প্রশমন দপ্তরের প্রধান রুডি রিনাল্ডি বলেন, অত্যন্ত তপ্ত পরিস্থিতি থাকায় কয়েকজন পুড়ে গেছে এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এরপর সোমবার পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা অন্তত ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। পরে অগ্ন্যুৎপাত বেড়ে গেলে উদ্ধার তৎপরতাও স্থগিত হয়ে যায়।

উদ্ধারকারীরা জানান, মঙ্গলবার ফের উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এতে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত একজন পবর্তারোহী।

মারাপি আগ্নেয়গিরিতে ঘন ঘন অগ্ন্যুৎপাত ঘটছে। দিনে একাধিকবারও উদ্গীরণ ঘটছে।

মারাপির স্থানীয় গণমাধ্যম মনিটরিং পোস্টের প্রধান আহমেদ রিফান্দি বলেন, শুধু মঙ্গলবারই পাঁচটি অগ্ন্যুৎপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, মারাপি এখনও অনেক সক্রিয়। আমরা আগুনের উচ্চতা দেখতে পাচ্ছি না। কারণ তা আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গাজুড়ে ঘন মেঘে আবৃত হয়ে আছে।

মাউন্ট মারাপি অর্থ ‘আগুনের পর্বত’। ইন্দোনেশিয়ার ১২৭টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় এবং এটি পর্বতারোহীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তুমুল অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে পবর্তারোহীদের কিছু পথ বন্ধ ছিল। তবে গত জুনে কিছু পথ পবর্তারোহীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

মারাপির সবচেয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে, সে সময় ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে।