প্রতি হামাস যোদ্ধার বিপরীতে দুজন বেসামরিক লোকের মৃত্যু!

গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিজন হামাস যোদ্ধার বিপরীতে দুজন করে বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা দাবি করছে, হামাস তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় এত বেশি সংখ্যক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসরায়েলের একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচ হাজার হামাস যোদ্ধা রয়েছে। আর প্রতিজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করতে গিয়ে আরও দুজন করে বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তার দাবি, হামাস তাদেরকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার কৌশল হাতে নেওয়ায় হতাহতের পরিমাণ এত বেড়েছে।

তবে তিনি বলেন, আমি বলছি না যে, এটি খারাপ নয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য উচ্চ প্রযুক্তির ম্যাপিং সফ্টওয়্যার স্থাপন করছে। আশা করি আগামী দিনে এই অনুপাত অনেকটা কমে আসবে। তার ভাষায়, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে আমরা বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমাতে আমাদের ক্ষমতায় সবকিছু করছি। তবে এটা কিন্তু যুদ্ধের পরিণতির একটা অংশ।

হামলায় বিধ্বস্ত গাজা

গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান মৃত্যু এবং সৃষ্ট মানবিক সংকট বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলকে বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য বলেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল গাজার পুরো আবাসনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ সব বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, স্কুল কোনো কিছুই ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। এমনকি ইসরায়েল গাজাবাসীকে সরে গিয়ে যেখানে আশ্রয় নিতে বলেছে, পরবর্তীতে সেই স্থানেই হামলা চালিয়েছে। নৃশংস হামলা চালিয়েছে শরণার্থী শিবিরেও। সব মিলিয়ে গাজাকে পৃথিবীর নরক বানিয়ে ছেড়েছে।