আইফেল টাওয়ার প্রাঙ্গণে ছুরি হামলা, জার্মান ট্যুরিস্ট নিহত

প্যারিসের আইফেল টাওয়ার প্রাঙ্গণে ছুরি হামলায় এক জার্মান ট্যুরিস্ট নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে এ ঘটনায় হামলাকারী এক ফরাসি যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা ও হত্যাযজ্ঞে ক্ষুব্ধ হয়েই পর্যকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

আইফেল টাওয়ার প্রাঙ্গণে ছুরি হামলায় জার্মান ট্যুুরিস্ট নিহত

ফরাসি পুলিশ জানিয়েছে,সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী আইফেল টাওয়ারের কাছে ঘোরাফিরা করছিল। এক পর্যায়ে কোয়াই ডি গ্রেনেল সড়কে এক পর্যটক দম্পতির কাছে গিয়ে একজন জার্মান নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে। এসময় পুলিশ তাকে তাড়া করলে পালিয়ে যাওয়ার পথে হাতুড়ি দিয়ে আরও দুইজনকে আহত করে।

পুলিশ শেষপর্যন্ত তাকে টাসের স্টান গান দিয়ে আক্রমণ ও আটক করে। লোকটি মানসিক রোগে ভুগছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন বলেন, হামলাকারী ২৬ বছরের যুবক ফ্রেঞ্চ নাগরিক। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি তালিকায় ছিলেন। ২০১৬ সালে একটি হামলার পরিকল্পনার ঘটনায় তিনি আটক ও চার বছর কারাগারে ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দারমানিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি হামলার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার করে। পরে পুলিশকে সে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ও ফিলিস্তিনে অনেক মুসলমান মারা যাচ্ছে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ হামলা চালিয়েছেন।

প্যারিসের সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, হামলার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের আপাতত এলাকাটি এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স-এ এক বার্তায় বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের প্রতি শোক ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

তিনি হামলাকারীকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করতে পারায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

ম্যাক্রোঁ বলেন, জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর অফিস এ ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।