স্পাই স্যাটেলাইটে হোয়াইট হাউস দেখছে উত্তর কোরিয়া!

চোখের সামনে ভাসছে আমেরিকার হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন! দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দর, সামরিক ঘাঁটি। এসব নিয়ে উত্তেজিত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। শত্রুপক্ষের সবকিছুই নাকি এখন তার চোখের সামনে। আর এসব সম্ভব হয়েছে গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের জন্য। খবর বিবিসির।

গোয়েন্দা স্যাটেলাইটে নজরদারির নতুন খেলায় কিম জং উন

পিয়ংইয়ং গত ২২ নভেম্বর ভোরে মালিগিয়ং-১ নামের গোয়েন্দা স্যাটেলাইটটি  কক্ষপথে পাঠাতে সক্ষম হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেকের আশঙ্কা, স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পৌঁছেছে তবে সেটি কোনো কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

তবে এরইমধ্যে কিম জং উন নজরদারির নতুন খেলায় মেতে ওঠেছেন। তিনি নাকি এখন হোয়াইট হাউস পেন্টাগনে কি হচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন!

মঙ্গলবার উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তরের লক্ষ্যবস্তুর তালিকার সবকিছু দেখা যাচ্ছে, হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন এবং যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব উপকূল বরাবর ও গুয়ামের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন বিমান বাহিনীর ঘাঁটি- সব চোখের সামনে দৃশ্যমান।

কেবল দূরের হোয়াইট হাউসই নয়, বাড়ির কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ঘাঁটি এবং বন্দর শহর বুসানও দেখতে পাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আরও দূরে বিস্ময়করভাবে দেখা যাচ্ছে রোম।

কিম শত্রুপক্ষের সবকিছু দেখতে পাওয়ার কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণাকে ছেলেখেলা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি প্রথমে চিত্তাকর্ষক বলে মনে হতে পারে, তবে আমি বলব যে অনলাইনে পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউসের প্রচুর ছবি রয়েছে। সুতরাং, এটিকে ধর্তব্যের মধ্যে নেওয়ার কিছু নেই।

গুগল আর্থ ও ইন্টারনেট লাইভস্ট্রিমে ব্যবহার করে আজকাল যে কেউ হোয়াইট হাউসে চোখ রাখতে পারে। বিশেষ করে হোয়াইট হাউসের একটি লাইভ ইউটিউবেও রয়েছে।

তাহলে কি কিম খেলা করছেন? তিনি এসব বলে আসলে কী পাচ্ছেন?

সিউলের কুকমিন ইউনিভার্সিটির উত্তর কোরিয়ার রাজনীতি বিষয়ক গবেষক ফিয়োডর টেরিটস্কি বলেন, আমরা উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে একটি জিনিস জানি, সেটি হল এটি এমন একটি দেশ যারা সব সময় মিথ্যা কথা বলে।

ফিয়োডরের দাবি, স্পাই স্যাটেলাইট দিয়ে হোয়াইট হাউস দেখার বিষয়ে তারা যদি কিছু বলে, তবে এটি সত্য নয়। সবসময় কিমের কর্মের দিকে তাকালেই সেটি স্পষ্ট হয়।