নেফারতারি মুন: ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও আল্লাহকে ডাকতে দেখা ভয়ঙ্কর সুন্দর ব্যাপার’

মার্কিন ফ্যাশন ডিজাইনার ও কমিক শিল্পী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিত নেফারতারি মুন বলেছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও সেখানকার অধিবাসীরা যেভাবে ধৈর্য ধরছে, আল্লাহকে ডাকছে তা দেখা সত্যিই ভয়ঙ্কর সুন্দর একটি বিষয়। ইসরায়েলি বর্বরতার মুখেও ফিলিস্তিনিদের এই সাহস, ধৈর্য, বিশ্বাসে প্রভাবিত হয়ে সম্প্রতি মুন ইসলাম গ্রহণ করেন। খবর আনাদোলু।

নেফারতারি মুন

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পার এলাকার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী মুন বলেন, আমার ইসলাম গ্রহণের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই। ফিলিস্তিনি জনগণে সাহস ও তাদের বিশ্বাসই আমাকে ইসলামের দিকে তাকাতে বাধ্য করেছিল।

নিজ জীবনে দেখা মানুষদের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে শক্তিশালী ও দৃঢ় মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে মুন বলেন, আপনি যদি তাদের দেখেন, হতবাক হয়ে যাবেন, এমন নৃশংস হামলার মুখেও তারা কী করছে এবং কিভাবে তাদের বিশ্বাসের ওপর অটল রয়েছে। তারা যে সব ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে আল্লাহকে ডাকতে দেখা ভয়ঙ্কর সুন্দর একটি বিষয়।

শুধু বছরের পর বছর ধরে চলে আসা ইসরায়েলি নির্যাতন-নিপীড়ন নয়, বরং ইসলামের নিজস্ব কিছু বিষয়ের কারণেই তারা তাদের বিশ্বাসের ওপর দৃঢ়তা দেখিয়ে চলছে। ইসরায়েলি হামলায় অনেকে তাদের মা, বাবা, ভাই, বোনসহ পুরো পরিবারকে হারিয়েছে, তবুও তারা তাদের কাছে থাকা ছোট ছোট জিনিসের জন্যও আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

স্বামী মুসলিম হওয়ার কারণে তিনি সর্বদা ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন উল্লেখ করে মুন জানান, সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে তিনি কুরআন পড়তে শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি বুঝাতে পারব না, কোরআন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী ধরনের শান্তি এসে যায়। আমি নিজেকে হালকা মনে করি এবং ভাবতে থাকি, আমি এমন এক স্থানে ফিরে এসেছি, যেখানে আমার আসার কথা ছিল। একসময় আমি ইসলাম গ্রহণ করি।

ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দেওয়া এক বার্তায় মুন বলেন, আপনারা জেনে রাখুন, পুরো বিশ্ব আপনাদের জন্য লড়াই করছে। আমরা সবাই আপনাদের জন্য প্রার্থনা করছি।