গাজায় উৎকণ্ঠা, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এখনও আসেনি

গাজায় ছয়দিনের যুদ্ধবিরতির সময় শেষ হচ্ছে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) সময় শেষ হতে চললেও এখনো মেয়াদ বাড়ানোর কোনো ঘোষণা আসেনি। এতে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা, দেশে দেশে যুদ্ধবিরোধীরা দাবি জানাচ্ছেন গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে হোয়াইট হাউসের সামনে মানববন্ধনে নারী কংগ্রেসম্যান রাশিদা

মধ্যস্থতাকারী সূত্র জানিয়েছে, দোহায় হামাস ও ইসরায়েলসহ মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

যদিও যুদ্ধবিরতি বাড়াতে হামাস ও ইসরায়েল উভয়পক্ষই সম্মত ছিল। ইসরায়েলের আরও কিছু নাগরিক হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছে। এসব জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত চাপে রয়েছে ইসরায়েলি সরকার।

সর্বশেষ ষষ্ঠদিনে বুধবার রাতে ১৬ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মধ্যে ১০ জন ইসরায়েলের, চারজন থাইল্যান্ডের এবং ২ জন ইসরায়েলি-রুশ নাগরিক।

যুদ্ধবিরতির ছয়দিনে মোট ৭৩ ইসরায়েলি ও ২৪ বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলিদের মুক্তির বিনিময়ে ২১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা সম্পর্কে হামাস জানিয়েছে, তারা নতুন করে ইসরায়েলের ৭ নারী-শিশু এবং জিম্মি থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩ ইসরায়েলির মরদেহ হস্তান্তর করতে চেয়েছে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। আর এতেই যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির বাড়ানোর দাবি উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নারী সদস্য রাশিদা তালিবসহ আরও কয়েকজন হোয়াইট হাউসের সামনে মানববন্ধন করেছেন। তারা বলছেন, গাজায় অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৯দিনে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।