মার্কিন সমর্থন নিয়ে সন্দেহ, তবুও পিছু হটবে না ইউক্রেন

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, মার্কিন সমর্থনের ঘাটতি এবং ফ্রন্ট লাইনের কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নিয়ে সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা পিছু হটবেন না। বুধবার ব্রাসেলসে কিয়েভের ন্যাটো সমর্থকদের তিনি এ কথা বলেন। খবর আল আরাবিয়া।

দিমিত্রো কুলেবা

ইউক্রেনের এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য ছিল ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে থাকা আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সেটি অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ইউক্রেন কোনোভাবেই এ যুদ্ধ থেকে পিছু হটবে না, কারণ এখানে সমস্যাটি শুধুমাত্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নয়, এটি সমগ্র ইউরো-আটলান্টিক মহাকাশের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।

সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমাদের কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন অনেকখানিই কমে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অবস্থান দুর্বলতর হয়ে পড়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় যেতে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বাধ্য করা হবে।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রতিবদ্ধ। মস্কোর সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা কিয়েভকে কোনো চাপ দিচ্ছে না।

সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের একটি অংশ একটি নতুন ৬০ বিলিয়ন ডলারের সমর্থন প্যাকেজ স্থগিত করে দেয়, যা ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার অব্যাহত প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে কুলেবা আশা প্রকাশ করে বলেন, মার্কিন কংগ্রেস নিশ্চয়ই এমন কোনো সমাধান খুঁজে বের করবে, যা আমেরিকান জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি ইসরায়েল ও ইউক্রেন উভয়কেই সমর্থন করবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ লড়াইয়ে প্রথম থেকেই ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ‘যুদ্ধের ক্লান্তি’ এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ন্যাটো দেশগুলোর পক্ষে কিয়েভকে সমর্থন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সে কারণেই আমেরিকা ও জার্মানি ইউক্রেনকে যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হন। বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।