ইসরায়েলি সাংবাদিক: হামাসের ‘ফাঁদে’ পড়েছে তেল আবিব

ইসরায়েলের মতো একটি বড় শক্তি এখন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ফাঁদে পড়ে গেছে। তারাই এখন তেল আবিবকে চালাচ্ছে। ইসরায়েলকে তারা সবার নজরে ফেলে রেখেছে। হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করলে ইসরায়েল এই ফাঁদ থেকে মুক্ত হতে পারবে না। ইসরায়েলের গণমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথের সামরিক সংবাদদাতা ইয়োসি ইহোশুয়া এসব মন্তব্য করেছেন। খবর মিডলইস্টআই।

ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

ইয়োসি ইহোশুয়া বলেন, হামাস ও হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মানবিক বিরতির নামে ইসরায়েলকে পরিচালনা করছে। তারা এখন ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির শর্তাবলী ঠিক করে, মুক্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ঠিক করে এবং কোন কোন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওযা হবে, তা-ও ঠিক করে।

ইহোশুয়া আরও বলেন, আমাদের শত্রুপক্ষের লোকজন এখন চারদিক থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা নজর রাখছে, আমরা কী আচরণ করছি। তারা এটাও লক্ষ্য রাখছে, কীভাবে আমরা অল্প সংখ্যক অপহৃত লোককে উদ্ধারের বিনিময়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে যুদ্ধবিরতি পছন্দ করছি।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা

তিনি বলেন, এমন নয় যে, এটি ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য একটি প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করছে। বরং এটি এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ৭ অক্টোবরে পাওয়া ধাক্কা থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

ইহোশুয়া প্রশ্ন রাখেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজায় আক্রমণ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কেন দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস ও রাফাহর দিকে বড় আকারের স্থল আক্রমণ শুরু করেনি। তিনি বলেন, অনেক অফিসার বিস্ময়ের সঙ্গে জানতে চায়, ৫০ দিনের যুদ্ধের পরও যদি আমরা গাজায় আক্রমণ না করি, তাহলে আর কবে করা হবে।

ইয়েদিওথ আহরোনোথের এই সামরিক সংবাদদাতা মন্তব্য করেন, শনিবার যখন হামাস দ্বিতীয় ব্যাচের বন্দীদের মুক্তি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখনই ইসরায়েল চূড়ান্ত অপমানের শিকার হয়েছে। সামরিক ফোরামের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, রাফাহ দখলের মাধ্যমে ইসরায়েল মিশরের সঙ্গে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ না নিলে ইসরায়েলের এ যুদ্ধ কোনো কাজে আসবে না। রাফাহ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে সেক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা পাবে ইসরায়েল। তখন হামাস বন্দীদের মুক্তি না দিলে গাজার সমস্ত লাইফলাইন কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে দাবিগুলো আদায় করে নিতে হবে।