ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলায় বরখাস্ত হলেন স্পেনের সেই মন্ত্রী!

স্পেনের সামাজিক অধিকার রক্ষা বিষয়কমন্ত্রী ইয়ন ব্যালেরাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার কারণে তার ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের এই মন্ত্রী শুরু থেকেই গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরোধিতা করে আসছিলেন। খবর প্রেসটিভি ও রয়টার্স।

ইয়ন ব্যালেরা

খবরে বলা হয়, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো তার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছেন। তবে মন্ত্রিসভা আগের মতোই ২২ জনে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। এদের মধ্যে ১২ জন নারী এবং ১০ জন পুরুষ। মন্ত্রিসভা থেকে যাদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাদের অন্যতম হলেন ইয়ন ব্যালেরা। তার পরিবর্তে ক্যাবিনেটের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য পাবলো বুসটিনডুইকে সামাজিক অধিকার রক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়ন ব্যালেরা তার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েকদিন আগেও তিনি বলেন, সবার সামনেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় নৃশংস হামলা এবং নির্বিচারে নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনকে হত্যার অভিযোগ করে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শাস্তিও দাবি করেছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার এক ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নিষ্ক্রিয়তাই ইসরাইলকে এ রকম গণহত্যা চালাতে উৎসাহিত করছে।

গাজায় এক রাতের নৃশংস হামলার পর টুইটারে শেয়ার করা এক আবেগঘন ভিডিও বার্তায় স্পেনের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গাজায় এই নারকীয় রাত পার হওয়ার পর ইউরোপীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে আমার খুব সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হচ্ছে- আমাদেরকে ইসরায়েলের এই গণহত্যার সহযোগী বানাবেন না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নামে এই গণহত্যার সপক্ষে কোনো কাজ করবেন না।

দেড় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে আসলেও ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। পাশাপাশি ইসরায়েলে সফর করে ইউরোপ ও আমেরিকার নেতারা নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতি তাদের সহমর্মিতা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।