২০২৩ বিশ্বকাপ: ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ

খুবই বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। কাগজে কলমে ২০০৩ সালের পর ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপের মতো খারাপ সময় পার করেনি লাল সবুজের দল। প্রাথমিকভাবে শেষ চারের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

সাকিবের আবেদনের প্রেক্ষিতে টাইমড আউট হন ম্যাথিউস

গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে পরাজিত করে সে স্বপ্নের পথে হাওয়া লাগায় বাংলাদেশ। এরপরের গল্পটা কেবলই বিষাদময়। পরবর্তী আট ম্যাচের মধ্যে সাতটিতেই হেরে গেছে সাকিব আল হাসান বাহিনী। এমন ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের কারণে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।

মাঠের খেলায় খারাপ সময় পার করলেও একটা ঘটনায় এবারের বিশ্বকাপটা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জন্য। আলোচিত সেই ঘটনাটি হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারকা ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড আউট।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে তিন উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ফলাফলকে পাশ কাটিয়ে টাইমড আউটের ঘটনাটি মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে দাঁড়ায়।

সে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ২৫তম ওভারের ঘটনা। সাদিরা সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ম্যাথিউস। হেলমেটে সমস্যার কারণে দুই মিনিটের মধ্যে নিজের প্রথম বল মোকাবেলা করতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক এই অধিনায়ক। 

তাই স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা আম্পায়ার মারাইস ইরাসমসের কাছে টাইমড আউটের আবেদন করেন বাংলাদেশ দলপতি সাকিব। নিয়ম মেনে ম্যাথিউসকে আউট দেন ইরাসমাস। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টাইমড আউটের ঘটনা দেখে সবাই।

এভাবে আউট হওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ম্যাথিউস। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক চর্চা হয়েছে। এর পক্ষে বিপক্ষে কথা বলেছেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা।

এমসিসির আইনের ৪০.১ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো ব্যাটসম্যান আউট বা অন্য কোনো কারণে ক্রিজে ছাড়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যথায় ফিল্ডিং দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে আম্পায়ার তাকে আউট ঘোষণা করতে পারবেন।