গাজার হাসপাতাল চত্বর এখন গণকবর, আল-শিফার মাঠে ১৭৯ লাশ দাফন

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার চত্বর এখন ফিলিস্তিনিদের গণকবর। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ওই গণকবরে ১৭৯ জনকে দাফন করা হয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এবং অবরোধের কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেখানে থাকা শিশুসহ অনেক রোগী মারা যায়। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও অবরোধের ফলে গাজা সিটি; বিশেষ করে উত্তর গাজার হাসপাতাল সবগুলোই কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

গাজার আল-শিফা হাসপাতালের আশ্রয় থেকেও উৎখাত হয়েছে এসব শিশু

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. আশরাফ আল-কুদরা জানান, জ্বালানি সংকটের কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজার অবস্থিত ৩৬টি হাসপাতালের সবগুলোই বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এরই মধ্যে ২২টি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ রবিবার বন্ধ হয়ে যায় সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদস।

আল-শিফা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে থাকা অসংখ্য রোগী মারা গেছেন। বিশেষ করে শিশুদের বেশিরভাগকেই বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল চত্বরে মঙ্গলবার গণকবরে ১৭৯ জনকে দাফন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, গাজা শহরে আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে একটি গণকবরে ১৭০টি লাশ দাফন করা হচ্ছে বলে খবর পান তারা। পরে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, শিশুসহ ১৭৯ জনকে হাসপাতালের মাঠে কবরে দাফন করা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়াহ বলেন, হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আরো মৃতদেহ পড়ে আছে এবং মর্গেও অসংখ্য লাশ রয়েছে, সেগুলো বিদ্যুৎ না থাকায় পচে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা তাদের গণকবরে দাফন করেছি।

সালমিয়াহ আরও বলেন, হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো বিদ্যুৎ না থাকায় আর কার্যকর ছিল না। অসংখ্য রোগীর মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুতের অভাবে, জেনারেটরগুলোয় প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়কারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। হাসপাতাল এখন গণকবরে পরিণত হয়েছে। শিগগির যুদ্ধবিরতি করতে হবে ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা দিতে হবে।