অনাস্থা প্রস্তাব: অনেক হয়েছে, এবার ঋষি সুনাককে যেতে হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিয়ে এসেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। এর পরদিন নিজেই অনাস্থা প্রস্তাব পেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার সরকারের এক এমপি লিখেছেন, অনেক হয়েছে, এবার ঋষি সুনাককে যেতেই হবে। কোনো কনজারভেটিভ পার্টির সত্যিকারের কোনো নেতাকে সামনে আনতে হবে। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

ঋষি সুনাক ও আন্দ্রিয়া জেনকিন্স

সোমবার হঠাৎ করেই মন্ত্রিসভায় রদবদল আনেন ঋষি সুনাক। বরখাস্ত করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েল্লা ব্রাভেরম্যানকে। সম্প্রতি তিনি একটি নিবন্ধে ব্রিটিশ পুলিশের সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, দক্ষিণপন্থী প্রতিবাদকারীদের ক্ষেত্রে কড়া মনোভাব দেখায় পুলিশ। অথচ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারীদের প্রতি তারা নমনীয় আচরণ করে। এর আগেও অবশ্য বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সুয়েল্লা।

সুয়েল্লাকে বরখাস্ত করার দিনই নতুন এক চমক দেখান ঋষি সুনাক। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিয়োগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে। সরে দাঁড়ান পরিবেশমন্ত্রী থেরেসে কফিও।

সুয়েল্লা ব্রাভেরম্যানকে সরিয়ে দেন ঋষি সুনাক

মন্ত্রিসভার এই রদবদল নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা আজ একটি পূর্ণাঙ্গ টিম তৈরি করেছি। দীর্ঘ মেয়াদে দেশের উন্নতির জন্য এটা দরকার ছিল। পেশাদারিত্ব, ঐক্যবদ্ধতা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এই টিম দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।

এদিকে মন্ত্রিসভার এই রদবদলের পর দিন ঋষি সুনাক নিজেই পেলেন অনাস্থার চিঠি। ব্রিটিশ এমপি আন্দ্রিয়া জেনকিন্স তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, যথেষ্ট হয়েছে। ঋষি সুনাকের চলে যাওয়ার জন্য এটিই সবচেয়ে ভালো সময়। আমি ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছি। এবার প্রধামন্ত্রী ঋষি সুনাককে যেতেই হবে। সত্যিকারের কনজারভেটিভ পার্টির কোনো নেতাকে নেতৃত্বে আনতে হবে।

তবে আন্দ্রিয়া জেনকিন্সের একার চিঠিতে ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে না। তার দলের ১৫ শতাংশ এমপি যদি এ বিষয়ে একমত হন তাহলেই এটি কার্যকরী হতে পারে। তবে ১৩ মাস বয়সী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ধারা শুরু হওয়ায় সঙ্কট বাড়বে, এটি প্রায় নিশ্চিত।