যে কারণে ফিলিস্তিনে সেনাবাহিনী নেই, জানলে অবাক হবেন
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এক মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজায়। তাদের প্রতিরোধ করছে হামাস। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ফিলিস্তিনের সেনাবাহিনী কোথায়? তারা কেন এগিয়ে আসছে না দেশরক্ষায়। আসলে পৃথিবীর যে কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী নেই, ফিলিস্তিন তার অন্যতম। ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির কারণেই দেশটিতে কোনো সেনাবাহিনী গড়ে ওঠেনি। খবর এবিপি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী
গত সাত অক্টোবরে থেকে থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। পশ্চিম তীরেও তারা হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অনেকে মনে করেন, ফিলিস্তিনের নিজস্ব একটি সেনাবাহিনী থাকলে এভাবে নির্বিচার হামলা চালানোর সুযোগ অন্তত পেত না ইসরায়েলি বাহিনী। এ শঙ্কা ইসরায়েলের মনেও ছিল। আর সে কারণেই চুক্তির মাধ্যমে একেবারে পাকাপাকিভাবে ফিলিস্তিনের সে সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধ করছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তবে তাদের এই সামরিক শাখা সরকার-স্বীকৃত নয়। তারপরও দেশ বাঁচাতে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে বলে দাবি করছে হামাস ও তার বেশ কিছু সহযোগী সংগঠন।
হামাস
মূলত ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত ইসরায়েলের সঙ্গে যে শান্তিচুক্তিতে সই করেছিলেন, তাতে থাকা শর্তের কারণেই ফিলিস্তিনের নিজস্ব কোনো সেনাবাহিনী রাখার অধিকার নেই। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনে কোনো সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠলে সেখানকার সরকার সে বাহিনীকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেবে। অন্যথায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হামলা চালাবে।
অতীতে ফিলিস্তিনের সামরিক বাহিনী হিসেবে পরিচিতি ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন বা পিএলওর অধীনে থাকা প্যালেস্টাইন লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। কিন্তু চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সে সংগঠন ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যে চুক্তি হয়, তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ফিলিস্তিনকে নিরস্ত্র করে ফেলা।
চুক্তিতে বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে তারা আধা সামরিক বাহিনী গঠন করতে পারবে, কিন্তু এর পরিসীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই বাহিনীর বিস্তৃতি, অস্ত্র, ক্ষমতাসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরায়েলের হাতে। শুধু তা-ই নয়, ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর জনবল, নেতৃত্বের বিষয় নিয়ন্ত্রণের অধিকারও দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের হাতে। গাজার সমুদ্র উপকূল পাহারা দেওয়া থেকে শুরু করে পরিবহণ নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ, সবই নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে ইসরায়েল।
অভিযোগ আছে, এভাবে সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে থাকায় ফিলিস্তিনকে এক ধরনের নিয়ন্ত্রণই করতে থাকে ইসরায়েল। অনেক ধরনের নিপীড়নও চালায় ইসরায়েলিরা।
দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলার পর ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে হামাস জয়লাভ করে। তখন তারা এক্সিকিউটিভ ফোর্স নামের একটি সরকারি বাহিনী গড়ে তোলে। পরে হামাস ক্ষমতাচ্যুত হলে এই বাহিনী ভেঙে যায়। পরে ইজদুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড নামের একটি সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার দায়িত্ব পালন করে। এই সংগঠনটি ছাড়াও সেখানে আরও কয়েকটি ছোট ছোট সশস্ত্র সংগঠন গড়ে ওঠেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মোকাবেলায় তারা সবাই একত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এ সংগঠনগুলো সরকারি সেনাবাহিনীর স্বীকৃতি না পেলেও ইসরায়েলের মতো শক্তিশালী সামরিক বাহিনীকে অতীতে বারবারই নাস্তানাবুদ করেছে। এ দফাতে গাজাকে গুড়িয়ে দিলেও এসব সংগঠনের কারণে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ঘোষণা দিতে পারছে না ইসরায়েলি শক্তিশালী ও আধুনিক সামরিক বাহিনী।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.