তুরস্কের সঙ্গে আতাঁত: এফবিআইর নজরদারিতে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র, ফোন জব্দ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সরকারের সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগ ও লেনদেনের অভিযোগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর নজরদারিতে পড়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। তদন্তের অংশ হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র এরিক অ্যাডামসের ফোন জব্দ করেছে এফবিআই। যদিও কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এরিক। খবর বিবিসির।

এফবিআইর নজরদারিতে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস

এরিকের নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, মেয়রের দুটি দুটি আইফোন ও একটি আইপ্যাড সোমবার রাতে নিয়ে গেছেন এফবিআই এজেন্টরা।

বিদেশিদের কাছ থেকে নির্বাচনী তহবিল পেতে মেয়র এরিকের নির্বাচনী প্রচারশিবির তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সরকার কিংবা এরদোয়ানঘনিষ্ঠ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আতাঁত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয় এফবিআই। কেননা, মার্কিন নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রচার কাজে ব্যয় করতে বিদেশী অনুদান নেওয়া অবৈধ।

তদন্তে নেমে গত সপ্তাহে মেয়র এরিকের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের প্রধান তহবিল সংগ্রাহক ব্রিয়ান্না সুগসের ব্রুকলিনের বাসায় হানা দেয় এফবিআই। সেখান থেকে দুটি ল্যাপটপ, তিনটি আইফোন এবং একটি ফাইল জব্দ করে এফবিআই।

শুধু তহবিল সংগ্রাহকের বাড়িই নয়, নিউইয়র্কে এরিক ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনের বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হানা দেয় এফবিআই। সর্বশেষ সোমবার রাতে এরিক অ্যাডামসের বাড়িতে অভিযান চালালো এজেন্টরা।

মেয়রের প্রচার শিবিরের আইনজীবী বয়েড জনসন বলেন, অ্যাডামস এফবিআইর অনুরোধ মেনে তার ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে দিয়েছেন। মেয়র তদন্তে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে তহবিল সংগ্রহের বিনিময়ে এরিক বা তার নির্বাচনী প্রচারশিবির তুরস্ক সরকারকে কোনো সুবিধা দিয়েছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখছে এফবিআই।

তবে যেকোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন এরিক অ্যাডামস। তিনি বলেন, আমার লুকানোর কিছু নেই। একজন ডেমোক্র্যাট ও সাবেক পুলিশ ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি আশা করি আমার স্টাফরা আইন মেনে চলবে এবং যেকোনো ধরনের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আমিও ঠিক তাই করবো।