কাবুলকে অপমান করছে পাকিস্তান?

তালেবান নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি অভিযোগ করেছেন, অভিবাসীদের বহিষ্কারের মাধ্যমে পাকিস্তান কাবুলকে অপমান করছে। খবর খামা প্রেস।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পতাকা

তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের অভিবাসীদের নির্বাসন কাবুলের ওপর চাপ প্রয়োগের একটি প্রচেষ্টা, তবে আফগানিস্তান এই ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।

মুত্তাকি আফগান শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহিষ্কারের পাকিস্তানের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক উভয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও, এই জনগোষ্ঠীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে। এতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জটিল সম্পর্ককে আরও খারাপ করে তুলেছে।

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য হওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আফগানদের গুরুতর সমস্যা ও বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে আফগানিস্তানে ফিরে আসছে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। প্রায় ১,৭৪,০০০ মানুষ তোরখাম, গোলাম খান এবং আঙ্গুর আদা ক্রসিং দিয়ে এবং আরও ৪৫,০০০ মানুষ চমন-স্পিনবোল্ডাক ক্রসিং দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছে।

খামা প্রেসের মতে, চলমান নির্বাসন ইস্যুটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে জটিল সম্পর্ক এবং আফগান অভিবাসীদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরেছে।

সম্প্রতি তালেবান নিযুক্ত আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই আফগান অভিবাসীদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করতে ইসলামাবাদকে সতর্ক করেছেন।

'আফগানিস্তানের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক উন্নয়ন' শীর্ষক বৈঠকে স্ট্যানিকজাই বলেন, আফগানদের প্রতিক্রিয়া ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এখন আফগানিস্তানের একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং প্রচুর অস্ত্র রয়েছে।

তিনি আফগান অভিবাসীদের বিতাড়িত করার পদক্ষেপের সমালোচনা করেন এবং এটিকে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়ার সময়সীমা ৩১ অক্টোবর ঘোষণা করেছিলো। এতে প্রায় ২০ লাখ আফগান শরণার্থীকে পাকিস্তান ছাড়তে হবে অথবা জোরপূর্বক নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান জোর দিয়ে বলেছে, তাদের সিদ্ধান্তটি কেবল বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল, তবে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে শরণার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে।