চীনের সামরিক বাহিনীতে অস্থিরতা, আসলে কী ঘটছে

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিতে (পিএলএ) ‘ফাটল’ তৈরি হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে এমনকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মত দেশটির হাই-প্রোফাইল কমান্ডারদেরও অপসারণ করা হয়েছে।

চীনের সামরিক বাহিনী

এই অবস্থার মধ্যে দেশটির একটি সাবমেরিন ডুবে যাওয়ার হওয়ার খবরটি অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, পিএলএ তার আরও সক্ষমতার পরীক্ষা চালাচ্ছে। কারণ দক্ষিণ চীন সাগরে আরও বেশি আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছে চীন। সেইসঙ্গে তাইওয়ানের প্রতি আক্রমণাত্মক পরিকল্পনায় আরও সোচ্চার হয়েছে দেশটি।

এএনআই লিখেছে, পিএলএ নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিন ডুবে যাওয়ার গুজবের ব্যাপারটা আসলে কী? এই খবর কিছু সময়ের জন্য চাউর হলেও সত্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির চীনা সামরিক বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো জোয়েল উথনো তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, এটি একটি মজার ব্যাপার। কারণে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ট্যাবলয়েট সংবাদমাধ্যমে এটি প্রকাশিত হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। আবার মূলধারার সংবাদমাধ্যমে খবরটি আসলেও তা তুলে নেওয়া হয়।

জোয়েল উথনো বলেন, ‘ফলে আমি মনে করি, একটি অনিশ্চিত তথ্য কীভাবে জনসাধারণের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এটি তার একটি উদাহরণ। আমার অনুমান বলছে, সেরকম কিছু ঘটেনি। কোনো সরকারই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানু্ষ্ঠানিকভাবে সমাবমেরিন ডুবির ঘটনা নিয়ে কিছু বলেনি। মনে হচ্ছে এরকম কিছু ঘটেনি, আর কোনো তথ্য সম্পর্কে আমাদের কতটা সচেতন হওয়া প্রয়োজন, এই ঘটনা সেটিই তুলে ধরে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) অক্টোবরের শেষের দিকে পিএলএ’র মধ্যে সংঘটিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর বিষয়ে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। সেখানে এয়ার ইউনিভার্সিটির চায়না অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক রডারিক লিকে প্রশ্ন করা হয়- পিএলএআরএফ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুর হদিস না মেলার ঘটনায় পিএলএ-কে কম স্থিতিশীল মনে হচ্ছে কিনা।

জবাবে রডারিক বলেন, ‘আমি এই প্রশ্নে সম্ভবত না-ই বলব। আমার মনে হয় এখানে অনেক গুজব আছে। কিন্তু আসলে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার চিত্র নেই। আমি মনে করি, এটি লি শাংফুর বরখাস্তের ঘটনাটি দুর্ণীতি সম্পর্কিত।’