গাজায় নিহত পেরুলো ১১০০০

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলার ৩৫তম দিন পার হলো শুক্রবার (১০ নভেম্বর)। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুক্রবার নিহত পেরিয়েছে ১১ হাজার। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

গাজার উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণেও বোমা ফেলছে ইসরায়েল

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৪দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ১১ হাজার ৭৮ জন ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার ৫০৬ শিশু এবং ৩ হাজার নারী রয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ২৬৬ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৮১২ জন নিহতের তথ্য দিয়েছিল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

জাতিসংঘ এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর আগপর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৫ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে। আর ৭ অক্টোবর থেকে নিহত হলো ১১ হাজার।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিমান বাহিনী ১৫ হাজারের বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

গত ৩৫ দিন ধরেই বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান। তাদের বোমা হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতাল, মসজিদ, আশ্রয় কেন্দ্র, এমনকি জাতিসংঘ স্কুলও।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক মাসের বেশি সময়ে গাজার অন্তত ২১ টি হাসপাতাল ইসরায়েলের বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

সর্বশেষ শুক্রবার গাজার আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতালে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান।

আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, সেখানে অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এছাড়া আল-বুরাক স্কুলের আশ্রয় কেন্দ্রে বোমায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট বলছে, আল-কুদস হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইসরায়েলি স্নাইপারদের গুলিতে একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে।