পুতিন: ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র এখন মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি হচ্ছে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনে যেসব অস্ত্র পাঠিয়েছে, সে সব অস্ত্র এখন মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি প্রথমে আফগানিস্তানে এবং পরে আফগানিস্তান হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অস্ত্র সরবরাহের কথা বলেন। খবর তোলোনিউজ।

ভ্লাদিমির পুতিন

রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, রাশিয়ার পাবলিক চেম্বারের নতুন সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন এসব তথ্য উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র প্রথম কেনে আফগানিস্তান। পরে সেই অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ কিনে নেয়।

ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলোর এমন উদ্বেগের ব্যাপারে পুতিন বলেন, অবশ্যই এটা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন এসব অস্ত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। ক্রমেই সে অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা হয়ত সরাসরি সেসব দেশে বিক্রি করছে না। কিন্তু পরোক্ষভাবে হলেও এসব অস্ত্র শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেই পৌঁছছে।

ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন অস্ত্র

তবে ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রুশ প্রেসিডেন্টের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন, তা সত্য নয়। ইউক্রেনের অস্ত্র আফগানিস্তানে আনা হয় না বা আফগানিস্তান থেকে অন্য কোনো দেশেও পাঠানো হয় না। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার সময় যেসব অস্ত্র-সরঞ্জাম আফগানিস্তানে রেখে যাওয়া হয়েছিল, সেগুলোর সবগুলোই নিরাপদ রয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রুশ প্রেসিডেন্টের এই দাবির বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আসাদুল্লাহ নাদিম নামের একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেন, আমাদের কাছে সঠিক নথি থাকলেই আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। তবে এটি ঠিক যে, ইউক্রেনে পাঠানো পশ্চিমা অস্ত্রগুলো বিভিন্ন ক্রেতার কাছে ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে।

আরেকজন সামরিক বিশ্লেষক সারওয়ার নিয়াজি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো সীমান্ত নেই, আবার দুই দেশের সম্পর্ক উষ্ণ এমনটিও বলা যাবে না। ফলে যদি এরকম কিছু ঘটে, তখন এর একমাত্র সম্ভাব্য উপায় হলো রাশিয়া থেকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো হয়ে আফগানিস্তানে যাওয়া।