ইসমাইল হানিয়া: পরাজয় ঢাকতেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, নিজেদের পরাজয় ঢাকতেই ইসরায়েল অব্যাহতভাবে নিরস্ত্র ও বেসামরিক গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে। বুধবার আল জাজিরায় সম্প্রচারিত একটি বক্তৃতায় হানিয়াহ এ মন্তব্য করেছেন। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

ইসমাইল হানিয়া

বক্তৃতায় ইসমাইল হানিয়া বলেন, নির্বিচার এই গণহত্যার দ্বারা খলনায়কেরা তাদের প্রচণ্ড পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলিরাও তাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছে।

হানিয়া তার বক্তৃতায় এই ‘গণহত্যা’ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের আরও বেশি চাপ তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি বিভিন্ন দেশের সরকার ও জনগণকে এই ‘গণহত্যা’ ও নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।

গাজায় ইসরায়েলিদের নির্বিচার হামলা

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরায়েলি সেনাসদস্যসহ এক হাজার চারশর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়। এছাড়া আরও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে গামাস। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাবাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে এমন হামলা চালানো সক্ষম হওয়ায় ইসরায়েলি লোকজন সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা নেয় নেতানিয়াহুর সরকার। ওই দিন থেকেই গাজায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে শুরু করে। গাজার বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলিদের বাছ-বিচারহীন হামলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

ইসরায়েলি হামলা থেকে হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। যুদ্ধের সব ধরনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে তারা সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবকবাহিনীর সদস্যদেরও হত্যা করেছে। হামলা চালিয়েছে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও। গাজাবাসীর জন্য কোনো স্থানই নিরাপদ হিসেবে ছাড়েনি তারা।