পাকিস্তান না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, কী নিয়ে ভাবছেন সাকিব?

কতশত ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে। বিতর্ক কিংবা অসহায় আত্মসমর্পণ, সাকিব আল হাসান মাথা পেতে নিয়েছেন সবকিছুই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ, সাকিব আবারও এলেন গণমাধ্যমের সামনে। দেখে বোঝারই উপায় নেই, পরশু রাতে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। সাকিব, স্থান কিংবা প্রেক্ষাপট বদলালেও বদলায়নি একটি বিষয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেই প্রশ্ন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে তো বাংলাদেশ?

সাকিব আল হাসান

ওহ হ্যাঁ, ভুলেই গিয়েছিলাম বিশ্বকাপ চলছে! রাত পোহালেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? ফুরফুরে মেজাজে সাকিবের কণ্ঠে ভেসে এলো, ‘দলের এখন যা পরিস্থিতি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদেরকেই এটা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে হবে; আর আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’

সাকিবের কাছ থেকে দলের প্রত্যাশা অনেক বেশি। প্রত্যাশা ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো এবারও নিজেকে চেনাবেন সাকিব, প্রশ্ন শেষ না হতেই সাকিব বললেন, ‘আমিও পারফর্ম করতে চাই।’ উত্তর দেওয়া শেষ না হতেই আরেকটি প্রশ্ন, সেটি কীভাবে? সাকিব উত্তর দিলেন চিরচেনা ভঙ্গিতেই, ‘আমিও সেই পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

চেষ্টা করতে করতেই সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আইসিসি থেকে বার্তা এসেছে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে পয়েন্ট টেবিলে থাকতে হবে সেরা সাতে। এবার লক্ষ্য তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরেই। এর জন্য জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে। সাকিবের ভাবনাতেও শুধুই পাকিস্তান, ‘আমাদের লক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। জয়ের জন্য খেলতে হবে, লক্ষ দুটি পয়েন্ট। টিম মিটিংয়ে এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা সবাই এই পরিস্থিতি থেকে বের হবার পথ খুঁজছি। কালকের ম্যাচটি আমাদের জিততে হবে।’

সাকিব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভাবছেন না এমনও নয়। সমীকরণ বলছে বাকি তিনটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটিতে জিততে হবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা তাই অনেক বেশি দরকার, ‘এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি। আমাদের ভালো খেলতে হবে, জিততে হবে। আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারি।’

চলতি আসরে ভালো অবস্থানে নেই পাকিস্তানও। ছয় ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে দলটি। সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিল পাকিস্তানের এমন বেহাল দশা বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে সহায়তা করবে কী না! জবাবে সাকিবের ইন্টারেস্টিং উত্তর, ‘একই কথা তো তারাও বলতে পারে (হেসে)। আমরাও তো পাঁচটা ম্যাচ হেরে বসে আছি। এটাও তো তাদের এডভান্টেজ। কী আর বলব বলেন?’

সাকিবের এমন কথায় প্রেস কনফারেন্স কক্ষে কিছুটা সময় হাসির রোল পড়ে যায়। এরপরই চেয়ার থেকে উঠে যান সাকিব। যাওয়ার আগে সাকিব একটা কথাও বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে হাসিরও দরকার আছে।’