গাজায় ১০ দিনে ঢুকেছে ত্রাণের ১১৭ ট্রাক

অবরুদ্ধ গাজায় ঢুকেছে মানবিক ত্রাণবাহী আরও ৩৩টি ট্রাক। সর্বশেষ রবিবার খাবার, পানি ও ওষুধ নিয়ে ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ত্রাণ নিয়ে ১১৭টি ট্রাক গাজায় গেছে, যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। খবর বিবিসির।

গাজায় ঢুকতে দেওয়া মানবিক ত্রাণ খুবই অপ্রতুল

জাতিসংঘ সোমবার (৩০ অক্টোবর) জানিয়েছে, মিসরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে রবিবার ৩৩টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। আগের দিন যেতে দেওয়া হয় ২৪টি ট্রাক।

জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ট্রাকগুলোতে খাদ্য, পানি ও ওষুধ রয়েছে।

রাফাহ সীমান্তের কর্মকর্তা ওয়ায়েল আবু আমর জানান, গত ২১ অক্টোবর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ১১৭ টি ট্রাক রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।

ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলার ঘটনায় ওইদিন থেকেই গাজার খাবার, পানি, গ্যাস-বিদ্যুত সব সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। একইসঙ্গে দিনে রাতে অবনবরত চালাতে থাকে বিমান হামলা।

গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপের কারণে সেখানে খাদ্য-পানির অভাবে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়। তার ওপর বিমান হামলায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বিধ্বস্ত হচ্ছে শত শত ঘরবাড়ি।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল কেবল মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে সীমিত সংখ্যক ত্রাণের ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে। তাও প্রতিদিন নয়।

গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় গাজায় প্রবেশ করেছে ২০টি ট্রাক। পরের দিন যেতে দেওয়া হয় ১৪টি। পর্যায়ক্রমে ১১৭টি ট্রাক গাজায় পৌঁছলেও এটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, অবরোধের আগেই গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হতো। এখন প্রতিদিন ১০০টি ট্রাককে ঢোকার অনুমতি দিতে স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তবে সেটিও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধ করতে নিয়মিতভাবে আরও বেশি পরিমাণে সাহায্যের প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা এবং পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা চালু রাখার জন্য জরুরিভাবে সেখানে জ্বালানি সরবরাহ প্রয়োজন। তবে গাজায় কোনো জ্বালানি ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।