ট্রাম্প: মুসলিমদের আমেরিকায় আসতে দেবো না, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকিয়ে দেবো

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে যেতে পারলে অধিকাংশ মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। শনিবার (২৮ অক্টোবর, ২০২৩) নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে শনিবার একটি রিপাবলিকান ইহুদি জোটের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতার সময় তিনি মন্তব্য করেন। খবর এএফপি ও আল জাজিরা।

ট্রাম্প

রিপাবলিকান ইহুদি কনভেনশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প প্রশ্ন রেখে বলেন, আগের মেয়াদে আমি তাদের ওপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলাম, সে কথা মনে আছে? আমি ফের নির্বাচিত হলে কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের আমাদের দেশ থেকে দূরে রাখব।

ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসনের সময় মুসলিম দেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল একটি ‘আশ্চর্যজনক সাফল্য’। আর এ কারণেই গত চার বছরে আমেরিকায় তেমন একটি ঘটনাও ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।

মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিলে সাইন করছেন ট্রাম্প, ফাইল ছবি

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা খারাপ মানুষদেরকে আমাদের দেশ থেকে দূরে রেখেছিলাম উল্লেখ করে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা চাই না আমাদের দেশে এমন লোক আসুক যারা আমাদের দেশকে উড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রাখে এবং সেটা বাস্তবায়িত করার কথা ভাবে।

ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে ট্রাম্প কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিলেন। ওই তালিকায় ছিল ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক ও সুদানের মতো দেশের নাম। বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি ট্রাম্প। তার সেই পদক্ষেপ হিসেবে আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। অবশ্য পরবর্তী সময়ে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সপ্তাহেই সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন।

বাইডেনকে দুর্বল আখ্যায়িত করে ট্রাম্প বলেন, তার জন্য আমাদের দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি কথা দিচ্ছি, আমি যদি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরতে পারি, তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকিয়ে দেবো। তিনি এ-ও দাবি করেন, আমি যদি এখন প্রেসিডেন্ট থাকতাম, তাহলে ইসরায়েলের ওপর এ হামলা হতো না।

উপস্থিত ইসরায়েলিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের ভালবাসি। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আপনাদের রাগ-ক্রোধকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। এ লড়াইয়ে আমরা ১০০ থেকে ১১০ শতাংশ আপনাদের পাশে রয়েছি।