সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না ইসরায়েলি বাহিনী

ইসরায়েলি বাহিনী আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং এএফপিকে বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় কর্মরত এসব সংস্থার সাংবাদিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। ফিলিস্তিনি এই ছিটমহলটি প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও অবরোধের মধ্যে রয়েছে।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না ইসরায়েলি বাহিনী

রয়টার্স এবং এএফপি ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে আশ্বাস চেয়েছিল যে গাজায় তাদের সাংবাদিকরা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে না। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস দেওয়া সম্ভব হবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) গাজা জুড়ে হামাসের সমস্ত সামরিক কার্যকলাপকে লক্ষ্যবস্তু করছে।' চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিক এবং বেসামরিক নাগরিকদের আশেপাশে তাদের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।   

ইসরায়েলি বাহিনী যুক্তি দিয়েছে, হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে তাদের হামলার তীব্রতার কারণে আশেপাশের ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া তারা গাজার অভ্যন্তরে হাসপাতালে হামলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার জন্য হামাসের রকেটকে দায়ী করেছে।  

ইসরায়েলি বাহিনীর চিঠিতে শেষে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে, আমরা আপনার কর্মীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারি না। তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনাকে জোরালোভাবে অনুরোধ করছি।' 

গাজার সাংবাদিকরা যেখানে অবস্থান করছে, তার কাছাকাছি সামরিক অভিযান চালানোর অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। 

গাজায় কর্মরত আরও কতটি সংবাদ সংস্থা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে একই চিঠি পেয়েছে তা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তবে এএফপির গ্লোবাল নিউজের পরিচালক ফিল চেটউইন্ড জানিয়েছেন, তার সংবাদ সংস্থাও একই চিঠি পেয়েছে।  

এদিকে রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, গাজায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিঠি পাওয়ার পর রয়টার্স এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিতে আইডিএফ অনিচ্ছুক। ফলে আহত বা নিহত হওয়ার ভয় ছাড়াই এই সংঘর্ষের সংবাদ প্রদানের তাদের ক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।' 

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ২৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই গাজায় নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এবং দক্ষিণ লেবাননেও কিছু সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।

সিপিজে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২২ ফিলিস্তিনি, ৪ ইসরায়েলি এবং একজন লেবানিজ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। 

সূত্র: রয়টার্স