পাকিস্তানের সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন, ভারতে চাপা উদ্বেগ

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পাকিস্তান-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা নতুন করে বেড়েছে। এরপর থেকেই পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ নানাভাবে তাদের নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে চলছে। ভারত ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সফল পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তান প্রথমবারের জন্য সফলভাবে সাবমেরিন থেকে পরমাণু মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে। আর এতেই চাপে পড়েছে ভারত।

পাকিস্তানের এই মিসাইলের নাম বাবর-৩। এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপে ত্রিমুখী সক্ষমতা অর্জন করেছে। পাকিস্থান এখন স্থল, আকাশ এবং সাগর থেকে পরমাণু অস্ত্র ছুড়তে পারে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবমেরিন থেকে পরমাণু মিসাইল উৎক্ষেপন সফল হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি পরমাণু বোমা ভারতের জন্য আরো বেশি হুমকি হয়ে দাঁড়ালো।

তবে ভারত বলছে, আমাদের একের পর এক পরমাণু পরীক্ষা সফল হওয়ায় উল্টো চাপে পড়েছে পাকিস্তান। ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান দীপক কাপুর বলেন, 'ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রাণপন লড়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। নিজেদের মিসাইল সিস্টেমেই পরিবর্তন আনছে তারা।' বিশ্লেষকরা বলছেন, 'যুদ্ধে শত্রু পক্ষের হামলায় ভূমির পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তখন সাগরে থাকা সাবমেরিন থেকে চালানো পাল্টা পরমাণু আক্রমণ কাজে লাগে। এই আক্রমণকে 'সেকেন্ড স্ট্রাইক' বা ‘দ্বিতীয় হামলা’ বলা হয়।

৯ জানুয়ারি সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া বা এসএলসিএমের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে পাকিস্তান। পাক সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এসএলসিএম বাবর-৩ নামের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ‘দ্বিতীয় হামলা’ চালানোর বিশ্বাসযোগ্য সক্ষমতা অর্জন করেছে। পাকিস্তানের এই ক্ষেপনাস্ত্রটি ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার।

বাবর-৩ পরীক্ষাকে পাকিস্তানের পরমাণু শক্তিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সাবমেরিন থেকে পরমাণু মিসাইল উৎক্ষেপণকে পাকিস্তানী পরমাণু বিজ্ঞানীদেরই সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান আগামীতে বাবর-৩-এর আরো পরীক্ষা চালাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামীতে এসএলসিএম’এর পরমাণু বোমা বহন ক্ষমতা এবং পাল্লা বাড়ানোর বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হবে।