অচল ১,২১০ ইসরায়েলি সেনা, বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ২০ হাজার!

ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর আল-আকসা ফ্লাড অভিযান চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এতে এ পর্যন্ত এক হাজার ২১০ জন ইসরায়েলি সেনা গুরুতর আহত হয়েছে, তারা সেনাসদস্য হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের অক্ষম তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে। খবর মিডলইস্টমনিটর ও টাইমস অব ইসরায়েল।

ইসরায়েলে হামাসের হামলা

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে টিভি চ্যানেল টুয়েলভ টিভির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় এ পর্যন্ত ৩০৭ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের মধ্যে যারা একেবারে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে পড়েছেন, তাদের বিশেষ শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর কোডনাম দেওয়া হয়েছে ‘আয়রন সোর্ড’ বা লোহার তরবারি। এতে এ পর্যন্ত এক হাজার ২১০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের ওই হামলায় অভ্যন্তরীণভাবে এক লাখ ২০ হাজার ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের কেউ কেউ তাদের বাড়ি থেকে পুরোপুরিভাবে উচ্ছেদ হয়েছে। আর কিছু মানুষ সাময়িকভাবে তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত এসব ইসরায়েলি নাগরিককে সরকারি বিভিন্ন রেস্টহাউজ, গেস্টহাউজে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

গাজা

হামাস জানায়, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে আল-আকসা ফ্লাড নামের ওই অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে রকেট ও ড্রোন হামলার পাশাপাশি হামাস সদস্যরা সশরীরে ইসরায়েলের ভেতরে গিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় তিন শতাধিক সেনাসদস্যসহ এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়।

হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা হামলা চালায়। এতে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ১৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি শিশু। এছাড়া সাড়ে ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।