এরদোয়ান: এভাবে ইসরায়েল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় শিশু ও নারীদের হত্যা এবং হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ ও গির্জায় বোমা হামলা করে ইসরায়েল নিজের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি বার্তায় এই মন্তব্য করেছেন।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

এরদোয়ান বলেছেন, ‘ইসরায়েল একটি রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মতো আচরণ করছে। গাজায় অব্যাহত হামলা কেবল আরও বেদনা, মৃত্যু এবং অশ্রু নিয়ে আসবে।'  

গাজা উপত্যকার নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য তিনি পশ্চিমা গণমাধ্যমের সমালোচনাও করেছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বের সমস্ত দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই ভূমিতে বসবাসকারী সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব। ইসরায়েলকে অবিলম্বে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। এটি গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে।' 

এরদোয়ান জানিয়েছেন, চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনে আরও মানবিক ট্র্যাজেডি প্রতিরোধের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক।

তিনি আগুনে ঘি ঢালার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা এবং একটি অমানবিক অবরোধের মাধ্যমে গণহত্যা চালাচ্ছে। কিন্তু তেল আবিবের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থনের কারণে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।' 

এদিকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, হাসপাতাল, গির্জা লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। গত ১৭ অক্টোবর আল আহলি হাসপাতালে বোমা হামলায় ৫০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৯ অক্টোবর একটি গির্জায়ও হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'অপারেশন আল আকসা ফ্লাড' নামে একটি বহুমুখী আক্রমণ শুরু করে। এই হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়। পরবর্তীতে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বোমাবর্ষণে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৩টি শিশুসহ কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ