পশ্চিমতীরে শরণার্থী শিবির-মসজিদে ইসরায়েলি বিমান হামলা

পশ্চিমতীরের জেনিনে শরণার্থী শিবির ও মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জেনিনের নূর শামস আশ্রয়শিবিরে হামলায় ৫ শিশুসহ নিহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন। জাতিসংঘ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বোমা হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে জেনিনের শরণার্থী শিবির

ইসরায়েলি দখলকৃত পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ১৪০০০ ফিলিস্তিনি গাদাগাদি করে বাস করছে। রবিবার ভোরে ওই শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান।

পশ্চিমতীরের রামাল্লা থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলের এফ ফাইটার জেট জেনিনের আকাশে দেখা যাওয়ার মুহূর্তের মধ্যেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।

ইসরায়েলি বাহিনী নিশ্চিত করেছে, শরণার্থী শিবিরের আল আনসার মসজিদে সশস্ত্র গ্রুপ জেনিন ব্রিগেডের ঘাঁটি রয়েছে। সেটি টার্গেট করেই অভিযান চালানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোমায় ওই মসজিদটি গুঁড়িয়ে গেছে। বিধ্বস্ত ভবনের নিচে অনেকেই আটকা পড়েছে। এতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

মসজিদে হামলার খবরের মধ্যেই জেনিনের নূর শামস শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালানো হয়।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ১৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচ শিশু রয়েছে।

গাজার হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিন থেকেই গাজায় অনবরত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে গাজায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গাজায় বোমার পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যমতে, পশ্চিম তীরে গত দুই সপ্তাহে ২৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। অন্যদিকে গত ৫০ বছরে ইসরায়েল পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদিবসতি গড়ে তুলেছে। সেখানে ৭ লাখের বেশি ইহুদি বাস করে।

ইহুদিবসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হলেও এ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আপত্তি কখনো কানে তুলেনি ইসরায়েল।