গাজার আরেকটি হাসপাতালে দ্রুত খালি করার নির্দেশ!

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা শহরের আরেকটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। দ্রুত তাদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন না করলে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ হত্যার জেরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার মধ্যেই তারা এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো। খবর আল জাজিরা।

আল-কুদস হাসপাতাল

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার আল-কুদস হাসপাতালটি দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক বাশার মুরাদের কাছে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদেরকে যে কোনো খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে বলে ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

বাশার মুরাদ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফোন করে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালটি খালি করে দিতে বলেছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া সব ফিলিস্তিনিকে উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিসে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বোমা হামলার পর আল আহলি হাসপাতাল

বাশার মুরাদ বলেন, আমি তাদের কথা শুনে বলেছি, তাহলে এই লোকগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাসসহ অন্যান্য পরিবহনের ব্যবস্থা করুন, যাতে এখানকার রোগীসহ ১২ হাজার মানুষকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারি। আর তাদেরকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের থাকারও ব্যবস্থা করুন।

এ কথা শুনে ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ইসরায়েলি সেনা অফিসার রেগে যান। তিনি হাসপাতালের পরিচালককে বলেন, যদি তুমি হাসপাতাল খালি না করো, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎসহ আনুষাঙ্গিক উপকরণের অভাবে আল-কুদস হাসপাতালের সব বিভাগের কার্যক্রম এখন বন্ধ আছে। তবে হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছেন ঘর হারানো প্রায় ১২ হাজার মানুষ। গত দুই সপ্তাহে বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী যাদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের একটি অংশ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে।

গাজার তেল আল-হাওয়া এলাকায় অবস্থিত আল-কুদস হাসপাতালটিতে ২০০৯ সালেও ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। পরে হাসপাতালটি পুনর্র্নিমাণ করা হয়। এখন আবারও সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দিল ইসরায়েলিরা।