গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মিশরে শান্তি সম্মেলন

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে মিশরের রাজধানী কায়রোতে এক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ অক্টোবর, শনিবার অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত থাকছেন না। ফলে এই সম্মেলন থেকে কী অর্জন হবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনা

ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য তাড়াহুড়ো করে এই শান্তি সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে। এই সম্মেলনটি পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আরব এবং ইউরোপীয় দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে একত্রিত করবে।

বর্তমানে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই কারণে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সীমান্তে জড়ো হয়েছে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে কায়রোতে শান্তি আলোচনার জন্য মিলিত হচ্ছেন আরব এবং ইউরোপীয় নেতারা।

এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধি থাকবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি চীন এবং রাশিয়ার মত প্রধান শক্তি অংশগ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়েও জানা যায়নি।

এই শান্তি সম্মেলনের আয়োজক দেশ মিশর এই সমাবেশ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। কেবল ১৫ অক্টোবর মিশরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শীর্ষ এই বৈঠকটি গাজার সংকট এবং ফিলিস্তিন ইস্যুটির ভবিষ্যত সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করেই অনুষ্ঠিত হবে। 

একটি ইউরোপীয় সূত্র জানিয়েছে, এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীদের কোন সুনির্দিষ্ট পর্যালোচনা নেই। তারা এখনও কিছুই জানতে পারেননি।  

সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উপস্থিত থাকবেন না। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যাবেন কিনা সে বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।  

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল এবং ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল কায়রো যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যদিও তারা উভয়েই মার্কিন-ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য শুক্রবার ওয়াশিংটনে থাকায় সময়মতো সেখানে পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

শনিবার মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি এই শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।  

সূত্র: রয়টার্স