ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ: রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ আঞ্চলিক সংকটের জন্ম দিতে পারে। এ সময় তিনি এ সংঘাত বন্ধের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। খবর আল জাজিরা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ল্যাভরভ বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দিয়েছে। ফলে এখন ওই সংঘাত বৃদ্ধি পেয়ে আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে। এ যুদ্ধ বন্ধের উপায় সম্পর্কে ল্যাভরভ জানান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনতে হবে। এতে উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতার পথ খুলবে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখছি চলমান এই সংঘাতে ইরানকে আবারও দোষারোপ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এই অভিযোগকে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বলে মনে করি। এতে এই সংঘাত আরও তীব্রতর হতে পারে।

গাজা

চলতি সপ্তাহে রাশিয়া জাতিসংঘে ইসরায়েল-গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার বন্ধের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতায় তা পাস হয়নি। পরে বুধবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতির জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আনা একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ব্রাজিল। তাতেও যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়। অন্যদিকে রাশিয়া এতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। নিজেদের অবস্থানের ব্যাপারে রাশিয়া জানায়, এ প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির কোনো স্পষ্ট আহ্বান ছিল না। ফলে গাজায় রক্তপাত বন্ধে একটি কোনো সহায়তা করবে না। তাই রাশিয়া এতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

এর আগে ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ের ব্যাপারে পুতিন বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, কিন্তু যে নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলার ব্যাপারে মন্তব্য করেন, গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। তারা সবাই হামাসকে সমর্থন করে, তা নয়। কিন্তু তাদের নারী-পুরুষসহ সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জন রুশ নাগরিক নিহত হয়েছে।

নীতিগতভাবে রাশিয়া স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করে। এছাড়া পশ্চিমা বিশ্ব যেখানে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত করেছে, সেখানে রাশিয়া এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সিরিয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।