ইসরায়েলি অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ

লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে মানারা গ্রামে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীও আক্রমণের উৎপত্তিস্থলের দিকে আর্টিলারি শেলিং দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ১৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিগত ১৭ বছরের মধ্যে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে বর্তমানে সবচেয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

 ম্যাপে ইসরায়েল এবং লেবাননের অবস্থান

ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর থেকে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৩ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। অবশ্য হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী এখনও নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।  

হিজবুল্লাহ ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র বলেছেন, বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মানারায় ইসরায়েলি অবস্থানে আঘাত করেছিল। এছাড়া তারা আরও চারটি ইসরায়েলি অবস্থানে হামলা করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে জানিয়েছে, লেবাননের যোদ্ধারা ইসরায়েলে কমপক্ষে দুটি অ্যান্টি-আরমার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে এই গোষ্ঠীটির চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো বলছে, সীমান্তে এই আক্রমণগুলো ইসরায়েলি বাহিনীকে বড় কোনো নতুন ফ্রন্ট না খুলেই ব্যস্ত রাখার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এদিকে ১৫ অক্টোবর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, ইসরায়েল তার উত্তর ফ্রন্টে যুদ্ধে কোনো আগ্রহ রাখে না। হিজবুল্লাহ যদি নিজেকে সংযত করে তবে ইসরায়েলও সীমান্তে পরিস্থিতি আগের মতোই রাখবে।  

গাজা উপত্যকায় ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে ৩ হাজার ৭৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১ হজার ৫০০ টিরও বেশি শিশু ছিল। অপরদিকে হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স