এরদোয়ান: গাজায় হাসপাতালে হামলা ‘গণহত্যাকে’ অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা গণহত্যাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। তিনি এই হামলার জন্য দায়ীদের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। খবর আনাদোলু।

এরদোয়ান

গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে এরদোয়ান বলেছেন, মঙ্গলবার আল আহলি হাসপাতালে জঘন্য হামলার মাধ্যমে চলমান গণহত্যাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমি তাদের তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর থেকে যারা বিভিন্ন বিবৃতির মাধ্যমে এ সংঘাতে ইন্ধন দিয়েছেন, তারাও এ গণহত্যায় সমানভাবে দায়ী।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মধ্য গাজার আল-আহলি হাসপাতালে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়েছে এবং ৩৪২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিধ্বস্ত গাজা

গাজার গণহত্যার ব্যাপারে এরদোয়ান ওআইসির প্রশংসা এবং জাতিসংঘের সমালোচনা করেন। গাজায় হামলা ইস্যুতে ডাকা জেদ্দার জরুরি বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান নিপীড়নের মুখে ওআইসি ইসলামী বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করে আসছে। তবে এসব ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং আরও একবার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

গাজার বর্তমান সংঘাত পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করে এরদোয়ান বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাত নিরসনে আমরা প্রথম দিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমি এ পর্যন্ত ১৮টি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে খথা বলেছি।

তিনি বলেন, মিশরীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতায় আমরা এই অঞ্চলে মানবিক সহায়তা সামগ্রীপূর্ণ তিনটি বিমান পৌঁছে দিয়েছি। আমরা সেখানে অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছি।

মধ্যপ্রাচ্যের এ সংঘাতে পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা কেবল এই সংঘাতে আরও ইন্ধন দিয়েছে। ইসরায়েরের পক্ষে বিমানবাহী রণতরী পাঠানো, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রতিশ্রুত সাহায্য বন্ধ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা গাজার অবরুদ্ধ লোকজনকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

এরদোয়ান তার বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটগুলো তাদের পক্ষপাতমূলক এবং মিথ্যা খবর দিয়ে গণহত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।