গাজা শরণার্থীদের জন্য ‘হৃদয় ও ঘরবাড়ি’ খুলে দিতে প্রস্তুত স্কটল্যান্ড

মধ্য গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার পাকিস্তান বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। তিনি বলেন, স্কটল্যান্ড গাজার শরণার্থীদের জন্য নিজের ‘হৃদয় ও ঘরবাড়ি’ খুলে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এসএনপি) বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় হামজা ইউসুফ এসব কথা বলেন। খবর টিআর ওয়ার্ল্ড।

হামজা ইউসুফ

গাজার বেসামরিক স্থাপনা হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার বলেন, মানুষ যদি হাসপাতালেও নিরাপদ না থাকে, তা হলে তারা যাবে কোথায়? দ্ব্যর্থহীন ও জোরালো ভাষায় এই হামলার নিন্দা জানাতে হবে। গাজায় দিনের পর দিন বেসামরিক মানুষজনের হতাহতের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, একজন ফিলিস্তিনির জীবনও একজন ইসরায়েলি জীবনের সমান।

গাজায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার একজন আত্মীয় গাজার একটি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। সেখানকার পরিস্থিতি এতই নাজুক যে, চিকিৎসার আগেই তাকে নির্ধারণ করে নিতে হচ্ছে, কাকে মারা যাওয়ার জন্য ছেড়ে দিতে হবে, আর কাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা

হামজা ইউসুফ বলেন, এর আগেও স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য শরণার্থীদের আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। সিরিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যারা শরণার্থী হিসেবে এসেছেন আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। আমরা আবারও সে কাজটিই করব।

গভীর রাতে হাসপাতালে হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এ ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন, স্কটল্যান্ড তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে ইচ্ছুক। এমন পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ড ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায়। ওই হামলায় আহত গাজার নারী-পুরুষ-শিশুদের আমাদের হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দেবে।

গাজার ১০ লাখের বেশি মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে’ উল্লেখ করে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সহায়তায় একটি স্কিম তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলার ঘটনায় হামজা ইউসুফের তিন চাচাতো ভাই আহত হয়েছেন।