হামাস: যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত ছাড়া এই নৃশংস হামলা সম্ভব নয়

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে হাসপাতালে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে শত শত বেসামরিককে লোককে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হাসপাতালে এ ধরনের হামলা চালানোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত ছাড়া ইসরায়েলের পক্ষে এই নৃশংস হামলা সম্ভব নয়। খবর আল জাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিতেই এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে হামাস

হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েল যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রও সমানভাবে দায়ী। কারণ তারাই ইসরায়েলকে এ আগ্রাসন চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে।

ইসমাইল হানিয়া বলেন, ইসরায়েল ও তার মিত্রদের পাশবিকতার আরেকটি প্রমাণ এই গণহত্যা। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে লড়তে সব ফিলিস্তিনিকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।

হামলার পর আল আহলি হাসপাতালে আতঙ্কিত লোকজন

হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত না পেলে ইসরায়েলের পক্ষে এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব নয়। তিনি উল্লেখ করেন, মঙ্গলবারই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন পরিস্থতির জন্য গঠিত মন্ত্রিসভার সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার বেশি বৈঠক করেছেন। অন্যান্য মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাও ইসরায়েল সফরে এসেছেন। এছাড়া বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল সফরে আসছেন। এ অবস্থায় কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত ছাড়া এ ধরনের হামলা হওয়ার কথা নয়।

এদিকে এ হামলার জেরে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। কাতার, মিশর, তুরস্ক, জর্ডান, কানাডা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে আরব লিগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও। এ অবস্থায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করছে, তারা মধ্য গাজার ওই হাসপাতালে হামলা চালায়নি। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের নিক্ষেপ করা রকেটই ওই হাসপাতালে আঘাত করে, যার ফলে ৫০০ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, গাজার সন্ত্রাসীদের চালানো রকেটই লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।