তেল সংকট, পাকিস্তান বিমানের ১৪ ফ্লাইট বাতিল

বড় অংকের টাকা বকেয়া থাকায় পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসে (পিআইএ) জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থা। ফলে এরই মধ্যে পিআইএ’র ১৪টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পিআইএ

জানা গেছে, পিআইএ’র আছে তেলের মূল্য বাবদ ৬৫ কোটি রুপি বকেয়া পড়েছে রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থা পাকিস্তান স্টেট অয়েলের (পিএসও)। ফলে সংস্থাটি মুলতান, সুক্কুর ও গিলগিত বিমানবন্দরে পিআইএ’র বিমানে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থার পরিস্থিতি আরও জটিল হতে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পিআইএ দেশটির অ্যাভিয়েশন ডিভিশনকে চিঠি দিয়ে ব্যাংকের কাছে ৭০০ কোটি রুপি ঋণ চেয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো ব্যাংকই পিআইএকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি।

পাকিস্তানে জ্বালানি সংকট চলছে দীর্ঘ সময় ধরে

অ্যাভিয়েশন ডিভিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে পিআইএ জানায়, আর্থিক সংকটের কারণে এর আগে জেদ্দা ও দুবাই তাদের জ্বালানি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এবার দেশের ভেতরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল বিপণন সংস্থা পিএসও এয়ারলাইনকে জ্বালানি সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এর ফলে পিআইএ ধীরে ধীরে অনিশ্চিত একটি পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও গত ২২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেসরকারিকরণ মন্ত্রী ফাওয়াদ হাসান জানিয়েছিলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা হওয়ার কারণে কোনো অবস্থাতেই পিআইএ’কে গ্রাউন্ড করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। দেশের সবচেয়ে লোকসানি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও এটিকে সচল রাখা হবে এবং  কোনো কর্মচারী ছাঁটাই করা হবে না।

পিআইএ অনেক আগে থেকেই আর্থিক সংকটে ভুগছে। তাই সংস্থাটি তার বিক্রয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যয়ের মধ্যে ১৫৩ বিলিয়ন রুপির বার্ষিক ঘাটতি পূরণের জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণ পরিশোধে স্থগিতের অনুরোধ করেছিল। পিআইএ’র কাছে নয়টি ব্যাংকের ২৬০ বিলিয়ন রুপি পাওনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পিআইএর পরিচালনা পর্ষদ ও অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আর এর জেরেই নতুন করে ব্যাংকগুলো পিআইএকে নতুন কোনো ঋণ দিতে চাইছে না বলে মনে করা হচ্ছে।