পেপ গার্দিওলার মেয়ে গাজার সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার মেয়ে ১৪ অক্টোবর, শনিবার একটি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করেছেন। এতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব টেলিভিশনে একটি গণহত্যা দেখতে চলেছে।' ইনস্টাগ্রামের এই পোস্টে মূলত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

বাবা পেপ গার্দিওলার সঙ্গে মেয়ে

মারিয়া গার্দিওলা মূলত একজন মডেল। এছাড়া তিনি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ইভা নামে পরিচিত আরেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট শেয়ার করেন। গাজার গণহত্যা নিয়ে করা এই পোস্টটি ইনস্টাগ্রাম এবং এক্সে (সাবেক টুইটার) লাখ লাখ শেয়ার হয়েছে।

মারিয়া গার্দিওলার শেয়ার করা ইভার ওই পোস্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, ইসরায়েলের লাগাম টেনে ধরার আগে আরও কত জন মানুষকে মরতে হবে?

ইভার পোস্টে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আমরা কী সত্যিই এখন এটিই করতে যাচ্ছি? আমরা শুধু বসে বসে টেলিভিশনে একটি গণহত্যা দেখব? তারপরে এখন থেকে কয়েক দশক পরে, যখন এটি ইতিহাসের বইগুলোতে লেখা হবে, তখন সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করবে, এটি কীভাবে হয়েছিল?' কেউ শেষ পর্যন্ত এই উন্মাদনার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে এবং আরও অস্ত্র নয় এ ধরনের সংযমের আহ্বান জানানোর আগে মৃত্যুর সংখ্যা কত হওয়া দরকার? ১০ হাজার? ১ লাখ? ১০ লাখ? নাকি আরও বেশি? আর কত ফিলিস্তিনি মারা গেলে মনে হবে যথেষ্ট হয়েছে?’ 

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এটি বেশ সহজ। আমরা পশ্চিমা বিশ্বের পূর্ণ সমর্থনে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র দ্বারা একটি দখলকৃত, নিপীড়িত জনগণকে ধ্বংসের সম্মুখীন হতে দেখছি। এটি সমান লড়াই নয় এবং কখনই ছিল না।' 

মারিয়া গার্দিওলার বাবা পেপ গার্দিওলাকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি তিনি ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এক মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন। 

বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ স্পেনের কাতালোনিয়া প্রদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। ২০১৮ সালে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে স্পেন দমন-পীড়ন শুরু করলে তিনি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচে কাতালোনিয়ার প্রতীক হিসেবে হলুদ রঙের একটি ফিতা পরেছিলেন। ফলে উয়েফা তাকে ২ লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছিল।

উল্লেখ্য, হামাস ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের শহরগুলোতে হামলা করে। এর ফলে ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি মারা যায়। এরপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইসরায়েল নির্বিচারে গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা শুরু করে। এতে কমপক্ষে ২ হাজার ২১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।    

সূত্র: দ্য নিউ আরব