ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য ভক্তদের ‘হাসপাতাল স্ট্রাটেজি’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ উপলক্ষে ক্রিকেট উন্মাদ ভক্তরা আহমেদাবাদের হাসপাতালে বিছানা বুকিং করছেন। কারণ হোটেলের দাম ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে নামকরণ করা ১ লাখ ৩২ হাজার আসনের এই স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে দেশ এবং বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত আহমেদাবাদে এসেছেন।

ছবি - সংগৃহীত

আহমেদাবাদের একটি বিশিষ্ট হোটেল সাধারণত একটি ডিলাক্স রুমের জন্য ৬ হাজার রুপি চার্জ করে। কিন্তু শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার রাতের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭০ হাজার রুপি।

অন্যদিকে, শারীরিক পরীক্ষার জন্য শহরের একটি হাসপাতালে চেক ইন করলে প্রতিদিন খরচ হয় ৭ হাজার রুপি।

একজন শহরের ডাক্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপি'কে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটি একটি দ্বৈত কর্ম। তারা একটি পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা এবং সম্ভবত ম্যাচটি দেখার জন্য এক রাত অবস্থান করতে চায়।’

‘এরা বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে আসা যারা ডিলাক্স একক শয্যার কক্ষ বুক করেছেন এবং একটি পূর্ণ স্বাস্থ্য প্যাকেজ বেছে নিয়েছেন।’

ডাক্তার আরও বলেন, ‘আমাদের এই বুকিংগুলো নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো রোগীর যত্ন নেওয়া। আমরা শুধুমাত্র ম্যাচ দেখার জন্য বিছানা দিতে পারি না। কিন্তু রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস থাকলে আমরা চেকআপ অস্বীকার করতে পারি না।’

উইকেন্ডের সময় বিমানের ভাড়াও বেড়ে গেছে এবং ভারতীয় রেলওয়ে মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে ভ্রমণকারী ভক্তদের জন্য দুটি স্পেশাল ট্রেন যুক্ত করেছে।

দুই প্রতিবেশী দেশ কেবল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে একে অপরের সাথে ক্রিকেট খেলে এবং তাদের শেষ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজটি ছিল ২০১২ সালে যখন পাকিস্তান ভারত সফর করেছিল।

‘আমরা সূচি ঘোষণার পরপরই জুন মাসে একটি হোটেল বুক করেছিলাম, কিন্তু ম্যাচটি একদিন এগিয়ে আসার পরে তারিখগুলো পুনরায় সামঞ্জস্য করতে হয়েছে,’ বার্মিংহাম থেকে পরিবারের সাথে দেখা করতে এবং ম্যাচটি দেখতে আসা হেনিশ প্যাটেল এএফপি'কে বলেন।

‘আমরা সাধারণত দিওয়ালির সময় ভারতে আসি (হিন্দু পঞ্জিকার অন্যতম বৃহত্তম উৎসব) কিন্তু এবার এটি ভারত-পাকিস্তান উৎসব এবং আমরা এখানে আছি।’

পাকিস্তানের সাংবাদিকরা এই সপ্তাহে বিশ্বকাপে ভ্রমণের জন্য ভিসা পেয়েছেন। তবে সীমান্তের ওপার থেকে ভক্তরা এখনও ভারত ভ্রমণের জন্য ভিসার জন্য অপেক্ষা করছেন।

স্টেডিয়ামের বাইরে ১১ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করে প্রতিযোগিতার জন্য নিরাপত্তা উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে, যা ম্যাচের দুই দিন আগেও একটি দুর্গের মতো।