চার সেঞ্চুরির ম্যাচে পাকিস্তানের রেকর্ড জয়

লক্ষ্যমাত্রা ৩৪৫ রান, ৩৭ রানে নেই দুই উইকেট। এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের উল্লাসে মেতেছে পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়েছে কুশাল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার দুর্দান্ত ব্যাটিং।

সেঞ্চুরির পর আব্দুল্লাহ শফিকের উল্লাস

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ওপেনিংয়ে আসেন ইমাম-উল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। বড় রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ১৬ রানে ইমামের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরে যান আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের সেরা ব্যাটার বাবর আজম। ৩৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল পাকিস্তান, তখনই জ্বলে উঠে শফিক ও চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবিশ্বাস্য কামব্যাক করে আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত পাকিস্তান। ফখর জামানের জায়গায় পাওয়া সুযোগ লুফে নিয়ে অসাধারণ ইনিংস খেলেন শফিক। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে দেখান জয়ের স্বপ্ন। শফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে জ্বলে উঠে রিজওয়ানের ব্যাটও।

লঙ্কান বোলারদের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন শফিক। কিন্তু দলীয় ২১৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১৩ রানে বিদায় নেন শফিক। শফিক ফিরলেও পাকিস্তানকে জয়ের পথে রাখেন রিজওয়ান। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে তিনিও তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ানের অনবদ্য ১৩৪ রানের সঙ্গে সৌদ শাকিলের ৩১ ও ইফতেখার আহমেদের ২২ রানে ভর করে ৪৮.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

এরই মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছে দলটি। ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এখন পাকিস্তানের দখলে। এর আগে ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩২৮ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড।

এর আগে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং উপহার দেন কুশাল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুই জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫০ ওভারে ৩৪৫ রান সংগ্রহ করেছিল শ্রীলঙ্কা।