ডাচদের উড়িয়ে টানা দুই জয় তুলে নিলো নিউজিল্যান্ড

স্বপ্নের মতো শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন। হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগে দারুণ পারফরম্যান্সে নেদারল্যান্ডসে উড়িয়ে দিলো টম লাথামের দল।

পাঁচ উইকেট শিকার করেন স্যান্টনার

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামেন নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ও ম্যাক্স ও'ডাউড। বড় লক্ষ্যে শুরুটা যেমন হওয়া দরকার ছিল তেমন শুরু এনে দিতে পারেনি দুই ওপেনার। দলীয় ২১ রানে সাজঘরে বিক্রমজিৎ। এরপর দ্রুত ফিরে যান ম্যাক্সও। দলীয় ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসকে রক্ষার দায়িত্ব নেন কলিন অ্যাকারম্যান ও বাস ডি লিড।

দুই তারকা ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে ডাচরা৷ ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা জুটিকে বড় হতে দেননি রাচিন রবীন্দ্র। দলীয় ৬৭ রানে লিডকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। বড় রান তাড়ায় লিডে হতাশ করলেও দারুণ ব্যাটিং উপহার দেন অ্যাকারম্যান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অ্যাকারম্যানকে যোগ্য সঙ্গ দেন তেজা নিদামানুর। কিন্তু ৫০ রানের জুটি পূর্ণ হতেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিদামানুর।

এরপর ফিফটি তুলে  নিয়ে বিদায় নেন অ্যাকারম্যানও। ব্যক্তিগত ৬৯ রানে অ্যাকারম্যানকে ফিরিয়ে দেন মিচেল স্যান্টনার। অ্যাকারম্যানের বিদায়ের পর বেশিদূর এগুতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। শেষ পর্যন্ত স্যান্টনারের পাঁচ উইকেটে ২২৩ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। নিউজিল্যান্ড জয় পায় ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে।

এর আগে হায়দ্রাবাদে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। দলীয় ৬৭ রানে কনওয়ে বিদায় নিলে রাচিন রবীন্দ্রকে সাথে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দেন ইয়ং। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন অর্ধশতক। এরপর ব্যক্তিগত ৭০ রানে ইয়ং বিদায় নিলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ততক্ষণে বিদায় নেন রবীন্দ্র। ফেরার আগে খেলেন ৫০ রানের দারুণ একটি ইনিংস।

টপ অর্ডার ব্যাটারদের দারুণ শুরুর দিনে মিচেলের ৪৮ ও টম লাথামের ৫৩ রানের পর মিচেল স্যান্টনারের ঝড়ো ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ৩২২ রান সংগ্রহ করে সবশেষ আসরের রানারআপ দল।