বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, শিক্ষকসহ নিহত ৩

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একটি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দুকধারীর গুলিতে এক শিক্ষকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ৩২ বছর বয়সী এক বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনাস্থলে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ

পুলিশ জানায়, প্রথমে মেডিকেল সেন্টারের কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালায় বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা বন্দুকধারী। এতে ওই অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যায়। এরপর বন্দুকধারী হামলা চালায় মেডিকেল সেন্টারে। এই ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন, ৩৯ বছর বয়সী এক নারী ও তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে এবং ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ বছর বয়সী একজন শিক্ষক।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, হামলাকারী প্রথমে একটি ভবনের চতুর্থ তলায় গুলি চালায়। সেখানে সে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। পরে একটি পেট্রোলবোমা ছুড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর হাসপাতালে এসে গুলি চালাতে থাকে। এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত চিকিৎসাকর্মীরা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। তারা স্ট্রেচার ও হুইলচেয়ারে করে রোগীদেরও বের করে আনেন।

আতঙ্কে হাসপাতালের কর্মীরা সবাই বাইরে বের হয়ে আসেন

পুলিশ প্রধান ফ্রেড ওয়েস্টারবেক সাংবাদিকদের বলেছেন, গ্রেপ্তার বন্দুকধারী ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টারেরই ছাত্র। তাকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দুই বছর আগে প্রাণী নির্যাতনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

রটারডামের মেয়র আহমেদ আবুতালেব বলেছেন, এটি একটি কালো দিন ছিল। এ ভয়াবহ ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। নিহতদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।

ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং রানী ম্যাক্সিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের সহানুভূতি প্রকাশ করে লেখেন, রটারডামে সহিংসতার শিকারদের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। এই ভয়ানক কর্মকাণ্ডের সময় যারা সেখানে উপস্থিত ছিল, এই ভয়াবহ ঘটনা দেখেছে, তাদের প্রতিও আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, রটারডামে মাদকর কারবারকে কেন্দ্র করে বছর জুড়ে এ ধরনের অসংখ্যা হামলা চালানো হয়। তবে এবারের হামলায় তেমন কোনো মাদক উদ্দেশ্য ছিল না বলে মনে করা হচ্ছে।