পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের আটক চলছেই!

পাকিস্তানের করাচিতে আফগানিস্তানের কনসাল জেনারেল আব্দুল জাবার তাখারি বলেছেন, গত ১৫ দিনে দেশটিতে কয়েকশ আফগান শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে। তিনি নিবন্ধনকৃত শরণার্থীদের আটকের বন্ধে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শরণার্থী

আব্দুল জাবার তাখারি বলেন, ‘পাকিস্তানের পুলিশ আফগানদের আটক করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ৯০০ জনের বেশি আফগান শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে কনস্যুলেটের চেষ্টায় তাদের মধ্যে ২০০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

আফগান শরণার্থীরাও এই অবস্থা থেকে উত্তরণে তাদের সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান কারাগারের আফগান শরণার্থী গহর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘পাকিস্তানে আমাদের খুব খারাপ অবস্থা। পাকিস্তান পুলিশ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন করে। এখানে অনেক চাপ। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পাকিস্তানে কারাগারে বন্দী। আমাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে আফগান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক ফেডারেল সরকার এক চিঠিতে খাইবার পাখতুনখোয়া কর্তৃপক্ষকে আফগান শরণার্থীদের সমস্যা সৃষ্টি না করার নির্দেশ দিয়েছে।

কী ঘটছে?

পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের আটকের ঘটনা সম্প্রতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৫ দিনে কয়েকশ আফগান শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাকিস্তান পুলিশের দাবি, আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। আফগান শরণার্থীরা তাদের ওপর নির্বিচারে হয়রানি ও আটকের অভিযোগ করছেন।

কেন হচ্ছে এই আটক?

পাকিস্তান সরকারের দাবি, আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন এবং তারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

কী বলছে আফগান সরকার?

আফগানিস্তানের কনসাল জেনারেল আব্দুল জাবার তাখারি আফগান শরণার্থীদের আটকের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি নিবন্ধনকৃত শরণার্থীদের আটক বন্ধে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কী বলছে পাকিস্তান সরকার?

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক ফেডারেল সরকার আফগান শরণার্থীদের সমস্যা সৃষ্টি না করার জন্য খাইবার পাখতুনখোয়া কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

কী হতে পারে ভবিষ্যতে?

পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের আটকের ঘটনা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে তা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। এছাড়াও, এটি আফগান শরণার্থীদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।