বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিয়ে বিপাকে কলকাতার ব্যবসায়ীরা

কলকাতায় দুর্গাপুজার সময়ে ইলিশের চাহিদা থাকে আকাশছোঁয়া। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের উচ্চ দামের কারণে বাজারে বিক্রি কমে গেছে।

পদ্মার ইলিশ

কলকাতার ব্যবসায়ীরা এবার পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ সরকার তিন হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয়। ২১ সেপ্টেম্বর থেকেই ইলিশ যেতে শুরু করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।

তবে দামের চোটে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারেই যেতে পারেনি ইলিশের বহর। ফলে ইলিশ পৌঁছার পাঁচ-ছয় দিন পরও রীতিমতো মাছি তাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

পাইকারিতেই গত বছরের তুলনায় ৩০০-৪০০ টাকা বেড়ে গেছে ইলিশের দাম। খুচরা বাজারে সে ব্যবধান আরও বেশি। স্থানীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের পাইকারি আড়তগুলোতে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশগুলোর দাম ছিল এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি। এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম ছিল কেজি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। কোথাও কোথাও আবার এই দাম দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। খুচরা বাজারে গিয়ে এই দামের সঙ্গে আরও ৩০০-৪০০ টাকা যুক্ত হয়েছে।

ইলিশ অনেক চাহিদার হলেও এত দাম দিয়ে তা কেনার পক্ষপাতি নন কলকাতাবাসী। ফলে পদ্মার ইলিশের বিক্রি টুকটাকের বেশি নয়। বরং অনেকে আপাতত দিঘা, ডায়মন্ড হারবার, মায়ানমার, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের ইলিশ দিয়ে উৎসবপর্বটা কাটিয়ে দিতে চাইছেন। কারণ সেসব ইলিশের দাম পদ্মার তথা বাংলাদেশের ইলিশের চেয়ে অর্ধেক।

কলকাতার একটি মাছের বাজার

ইলিশপ্রেমীরা অভিযোগ করছেন, এবারে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ইলিশের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে অন্য কারণও রয়েছে।

তারা বলছেন, ভারত সরকারের নতুন নীতিমালার কারণে ইলিশ আমদানি খরচ বেড়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের বন্যার কারণে ইলিশের সরবরাহ কমেছে।

যাই হোক, পদ্মার ইলিশের উচ্চ দাম কলকাতার বাজারে বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।