ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর, রোববার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সংস্থাটির বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৫ তম অধিবেশনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন

শান্তিনিকেতন ভারতের ৪১তম এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃতীয় ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এবং দার্জিলিং মাউন্টেন রেলওয়ে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এছাড়া গত বছর এই রাজ্যের দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছিল।

ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় অবস্থিত শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিল। বিশেষ করে ২০১০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে তাদের সেই চেষ্টা সফল হল।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির মূর্ত প্রতীক এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন এখন থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি সমস্ত ভারতীয়দের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।'  

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও এই খবরে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আমি আনন্দিত এবং গর্বিত যে আমাদের শান্তিনিকেতন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতন কবির দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মানুষের সমর্থন পেয়েছে।'  

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অঞ্চলের নাম শান্তিনিকেতন রেখেছিলেন। তিনি সেখানে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে একটি আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই স্কুল ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।

সূত্র: এনডিটিভি