৫ আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইরান

বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের হাতে আটক ৫ জন ইরানিকে মুক্তি দিয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে জব্দ করা ইরানি তহবিলের ৬০০ কোটি ডলারও ফেরত দেওয়া হয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল।

বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে

১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটে কাতারের একটি বিমান রাজধানী দোহাতে অবতরণ করে। এই বিমানে ছিলেন ইরানের হাতে আটক ৫ মার্কিন বন্দী। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ইরানি তহবিলের ৬০০ কোটি ডলার কাতারের আল আহলি ও দুখান ব্যাংকের ইরানি অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ব্যাংকে রাখা ইরানি তহবিলের ৬ বিলিয়ন ডলার জব্দ করেছিল। তবে মুক্তিপণ হিসেবে এই অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই অর্থ শুধুমাত্র মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে এগুলো আবার জব্দ করা হবে।

মার্কিন নাগরিক সিয়ামাক নামাজি (৫১), এমাদ শারকি (৫৯) এবং পরিবেশবাদী মোরাদ তাহবাজ (৬৭) ইরানে বন্দী ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চতুর্থ এবং পঞ্চম বন্দী তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। 

সোমবার এই ৫ জন বন্দীকে দোহা বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাদের মধ্যে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সমালোচনা উপেক্ষা করে অবিশ্বাস্যরকম কঠিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশংসা করেছেন।

সিয়ামক নামাজি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অবশেষে আমেরিকান নাগরিকদের জীবনকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ।' 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৫ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এরা হলেন, মেহরদাদ মইন আনসারি, কামবিজ আত্তার কাশানি, রেজা সারহাংপুর কাফরানি, আমিন হাসানজাদেহ এবং কাভেহ আফ্রাসিয়াবি। ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, বন্দীদের মধ্যে দুজন কাতারে পৌঁছেছেন। বাকি তিনজন বন্দী যুক্তরাষ্ট্রে বা তৃতীয় কোনো দেশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্র: দ্য নিউ আরব